মাদ্রাসা-কারিগরি শিক্ষার্থীদের ১৩ জানুয়ারির মধ্যে টিকা নেয়ার নির্দেশ
মাদ্রাসা ও কারিগরির ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে টিকা দেয়া নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব কাইজার মোহাম্মদ ফারারীর স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের উদ্যোগে উপজেলা বা জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে টিকা দেয়া নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে নর্থ সাউথ-ড্যাফোডিল-ইউরোপিয়ান
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের উদ্যোগে উপজেলা বা জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে টিকা ছাড়া ১২ বছর বয়সী কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারবে না বলে সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ
এদিকে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার শর্ত শিথিল করেছে সরকার। এখন থেকে পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধনের সনদ ছাড়াই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারবেন। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য জন্মনিবন্ধন আবশ্যক। ২০০১ সালের পর জন্ম নেয়া শিশুর জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিডিআরআইএস সফটওয়্যারে পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন নম্বর দেয়ার নিয়ম আছে।
১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯ টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া সনদের ভিত্তিতে প্রয়োজনে পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন ছাড়া ন্যূনতম সময়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুললেও প্রতিদিন সব শ্রেণিতে পাঠদান হচ্ছে না।