টাকা আত্মসাতের মামলায় মাদ্রাসা সুপার কারাগারে

বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. রফিক উল্যা
বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. রফিক উল্যা  © সংগৃহীত

লক্ষীপুরে দানপত্রের ১৫ শতক জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. রফিক উল্যাকে (৪০) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জহিরুল আলম।

এ মামলার বাদী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া।

এর আগে বৃহস্পতিবার ওই সুপার (সি আর ২৩২/২১) একটি মামলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ) জুয়েল দেব এর আদালতে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত রফিক উল্যাহ উপজেলার গন্ধব্যপুর গ্রামের মৃত- মফিজ উল্যাহ’র ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জ বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার (অধ্যক্ষ)।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সদর উপজেলাধীন চন্দ্রগঞ্জ বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দানপত্র দলিল মুলে পাওয়া ১৫ শতাংশ ভূমি নুরুল ইসলাম মিয়া (৫৫) প্ররোচনায় ২০১৪ সালে (দলিল নং-১৩৫৭০) বিক্রি করে দেয়। জমি বিক্রির ওই টাকা মাদ্রাসার কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করে আত্মসাৎ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ১ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার ১৫ শতক জমি বিক্রির বিষয়টি সুপার স্বীকার করেছেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধান করবেন বলে না করায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জহিরুল আলম বলেন, আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ