মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক-সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ নিয়ে রুল
দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে, ওই পদে আবেদনকারীদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদ্রাসায় ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর কারিগরি ও মাদ্রাসায় শিক্ষা বিভাগের এক সার্কুলার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দিলে স্ব স্ব মাদ্রাসার অধ্যক্ষরা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে উক্ত পদে যোগ্যতা সম্পন্নরা আবেদন করেন। পদসমূহে নিয়োগ সম্পন্নও হয়েছে ইতোমধ্যে।
তবে গত ১৮ জুলাই কারিগরি ও মাদ্রাসায় শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশ দিয়ে দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিবর্তে উক্ত পদ দুটি বাতিল করে পদ দুটিকে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এবং গ্রন্থাগার প্রভাষক সৃষ্টি করে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে উক্ত পদ দুটিতে (সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী) সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দেয়।
পরে দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা মৌলিক অধিকার পরিপন্থী দাবি করে এবং নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪ জন আবেদনকারীর পক্ষে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান আরিফ। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।