৩০ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫০

ইসলামের নামে যেনো অপব্যাখ্যা না হয়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী  © ফাইল ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ আগস্ট) ভার্চুয়ালি এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু ব্যক্তি জীবন নয় রাষ্ট্রীয় জীবনেও সকলেই যেনো ইসলাম প্রতিপালন করতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়সমূহ তুলে ধরেন। তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন। একই সাথে মহানবী (স:)-এর আর্দশের কথা মনে করে দিয়ে ইসলামের নামে যেকোন অপব্যাখ্যা না হয় সেদিকে সকল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। 

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, অনেক জাতী গোষ্ঠী আছে যাদের কোন রাষ্ট্র নেই, একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুদীর্ঘ কাল থেকে এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছে। জাতির পিতা আমাদের জন্য একটি রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন বাংলা, আরবি ও ইংরেজি ভাষা জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়। বিশেষত আরবি ভাষায় তারা যেনো দক্ষ হয়ে জাতি ও দেশের উন্নয়ন করতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য  মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণের প্রতি অনুরোধ করেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও সূচনা বক্তব্য রাখেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ।

ভার্চুয়াল সভায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষরা সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এস.এম. এহসান কবীর, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবু হানিফা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস. এম. গাউসুল আজম, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. মো. রফিক আল মামুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।