২৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:০০

মাদ্রাসা সভাপতি পদেও এমপিরা থাকতে পারবেন না

  © ফাইল ফটো

ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির (জিবি) সভাপতি পদেও সংসদ সদস্যরা থাকতে পারবেন না। আজ আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এ. এস. মাহমুদ স্বাক্ষারিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এর আগে গত ২৭ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে গভর্নিং বডির (জিবি) সভাপতি পদে সংসদ সদস্যরা থাকতে পারবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

এদিকে, আজ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং-২৩০/২০১৭ এর ২৫/১১/২০১৯ খ্রি. তারিখের রায় অনুযায়ী মাননীয় সংসদ সদস্যগণ ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

“এমতাবস্থায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ফাজিল/কামিল মাদ্রাসামূহে বর্তমানে গভর্নিং বডিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত মাননীয় সংসদ সদস্যের স্থলে জেলা সদরে অবস্থিত মাদ্রাসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত মাদ্রাসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন”।

এর আগে গত (১৬ জুলাই) বৃহস্পতিবার ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি পদে সংসদ সদস্যদের থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, সংসদ সদস্যকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। আর গভর্নিং বডি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পদমর্যাদা সংসদ সদস্যের নিচের। নির্বাচিত সংসদ সদস্য যদি গভর্নিং বডির সভাপতি হন তাহলে বডি একটি ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে বাধ্য। সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হন।

রায়ে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের এ সংক্রান্ত আগের রায় পর্যালোচনা করে কাঁচের মতো স্পষ্ট, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সংসদ সদস্যদের সভাপতি হিসেবে থাকা সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে রুল জারি করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ জুন সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শ্যামনগরের আতরজান মহিলা কলেজের সভাপতি পদে মনোয়নন দেয়। সে মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আফজালুল হক।