০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:০৯

গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ, শিক্ষিকার সহযোগিতায় সুপারের ধর্ষণের অভিযোগ

মাদ্রাসা সুপার মাহমুদুল হাসান  © ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষিকার সহযোগিতায় সুপারের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়ে লোক-লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন মেয়েটি। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মাদ্রাসা সুপারকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বলে জানিয়েছেন মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মাদ্রাসা ছুটির পর খাদিজা ম্যাডামের সহযোগিতায় মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার ৮ দিন পর বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মেয়ে আমাদের বিষয়টি জানায়। আত্মহত্যা করবে বলেও সে হুমকি দেয়।

পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেয়েটি আত্মহত্যা করে বলে জানিয়েছে পরিবার। এরপর গ্রামবাসী অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ পরিদর্শক শীতল চন্দ্র পাল বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মাদ্রাসা সুপার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার ও শিক্ষক খাদিজা বেগমকে আটক করা হয়েছে।

আটক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার (৫১) বামনডাঙ্গা গ্রামের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার সুপার ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শিকদারের ছেলে। মারা যাওয়া ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসার পঞ্চম জামাতের ছাত্রী ছিল।