‘তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে’
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের ওপর নির্যাতন করা হতো। গত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স-মাস্টার্সে মিল্লাতের শিক্ষার্থীরা প্রথম স্থান অধিকার করার পরও শিক্ষক হিসেবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হতো না। এমনকি চাকরি থেকে তাদের বাদ দেওয়া হতো।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রথম অ্যালামনাই কনফারেন্স ২০২৫ -এ এসব কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, জুলাই বিপ্লবসহ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মিল্লাতের শিক্ষার্থীরা নেপথ্যে ও সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছেন। তাদেরকে সব জায়গায় বঞ্চনার স্বীকরা হতে হতো। অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম স্থান অধিকার করার পরও তাদের বাদ দেওয়া হতো।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মিল্লাতের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। মিল্লাত এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার এক মডেলের নাম। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় তারা নিজেদের যোাগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে।
জানা গেছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রথম অ্যালামনাই কনফারেন্স এদিন সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী বাংলাদেশ চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্র আগারগাঁওয়ে অ্যালামনাইয়ের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন তা‘মীরুল মিল্লাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি ও সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও সভাপতিত্ব করেন মিল্লাতের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডক্টর খলীলুর রহমান মাদানী।
৪ সেশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, মিল্লাত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কুরবান আলী, মিল্লাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি ও সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা জয়নুল আবেদীন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নকিব মো. নাসরুল্লাহ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শামসুল আলম, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিয়া মুহাম্মদ নূরুল হক, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ডক্টর কামালুদ্দীন আব্দুল্লাহ জাফরী, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, গভর্নিং বডি সদস্য প্রফেসর নুরুন্নবী মানিক, আব্দুর রহমান আলমাদানী, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলামসহ প্রমুখ।
জুলাই বিপ্লবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা স্মরণ করে বক্তারা বলেন, এই মাদ্রাসার ছেলেরা যাত্রাবাড়িতে যে লড়াই করেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে এই ইতিহাস বারে বারে বলতে হবে। সুতরাং, আজকে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের সকলের কাছে আমার আহ্বান থাকবে আমরা যেন আমাদের এই বিজয় ধরে রাখতে পারি। এবং সেই বিজয় ধরে রাখার বিষয়ে ইনশাআল্লাহ তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ছেলেরা ও অ্যালামনাইরা সবাই নেতৃত্ব দেবেন।