মাহফিলের ভিডিও নিয়ে লাইভে এসে যা বললেন যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার মহাপরিচালক
যশোরের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা নামের একটি ব্যানারে ধারণ করা ভিডিওটি নিয়ে ফেসবুকে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ভিডিওতে এক মুখোশধারী ব্যক্তি আরবি ভাষায় জিহাদ সম্পর্কিত আলোচনা করছেন। তার পাশে কালো মুখোশ পরিহিত দুই ব্যক্তি অস্ত্রসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এটি দ্রুত ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ও আলোচনা করছেন।
মাদ্রাসাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসার বাৎসরিক আঞ্জুমান অর্থাৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রদের একটা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে একটা মহল বিভ্রান্ত ছড়ানোর পাঁয়তারা করছে। তার ব্যাখ্যা প্রদান জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকির পক্ষ থেকে।
লাইভে এসে মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকি বলেন, এটা মাদ্রাসার বাৎসরিক সংস্কৃতির একটি অংশ। কিন্তু ফেসবুকে এটিকে পরিকল্পিত জঙ্গি বলা হচ্ছে। এটার সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সর্ম্পক নেই বলেও তিনি এসময় দাবি করেন।
জানা গেছে, যশোর শহরতলীর রাজারহাট বিহারি কলোনি এলাকায় ২০১২ সালে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এখানে মূলত হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি দেওয়া হয়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, মাদ্রাসার বার্ষিক আঞ্জুমানের (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের লড়াই সংগ্রামের বিষয়টি অভিনয় করিয়ে দেখিয়েছে।