০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৩

ট্রাংকে চিরকুট, নিখোঁজ ৫ মাদ্রাসা ছাত্রী

কালাই থানা  © সংগৃহীত

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার চাকলমুয়া সহীহ সুন্নাহ বালিকা মাদরাসার আবাসিকের পাঁচ ছাত্রী ফজরের পর থেকে নিখোঁজ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তারা নিখোঁজ বলে দাবি করেন মাদ্রাসা পরিচালক ফিরোজ হাসান। এ ঘটনায় তিনি কালাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদরাসায় মোট ১০০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করে। এরমধ্যে ৫৫ জন মাদ্রাসা আবাসিক হতে লেখাপড়া করে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতের খাওয়া শেষে আবাসিকের ছাত্রীরা ঘুমিয়ে পড়ে। প্রতিদিনের ন্যায় ভোরে তাদের ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য দরজা খুলে দেন আবাসিকের তত্ত্বাবধায়ক মঞ্জুয়ারা বিবি। এরপর মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেনের মেয়েসহ পাঁচ ছাত্রী বাইরে গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফেরত আসেনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অন্য চার ছাত্রীর বাসায় খোঁজ নিয়েছে, তবে তাদের কেউই বাসায় যায়নি মর্মে থানায় অভিযোগ করেন।

নিখোঁজ পাঁচ ছাত্রীর সবার বয়স ১০-১২ বছর। এদের মধ্যে তিন ছাত্রীর ট্রাংক খুলে ভেতরে একটি করে চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তিনজনের ট্রাংকে যে চিরকুট পাওয়া গেছে, সেসব চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রিয় মা-বাবা, তোমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না। এ কারণে চলে যাচ্ছি। আমরা আবার ফিরে আসবো’ তবে চিরকুট মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ লিখে রেখেছে বলে সন্দেহ করছেন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর স্বজনরা। বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচ ছাত্রীর খোঁজ পায়নি প্রশাসন।

নিখোঁজ ছাত্রীর এক ভাই হৃদয় হাসান গণমাধ্যমকে জানান  ‘এ মাদ্রাসায় যে নিরাপত্তা নেই আমরা আগে জানতাম না। আজ সকালে মাদ্রাসা থেকে ফোন করে আমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায়। আমার বোনসহ পাঁচজন আজকেই চলে গেছে, নাকি আগে চলে গেছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালক ফিরোজ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার মেয়ে কামরুন্নাহার শিমু’ নিখোঁজদের মধ্যে একজন।


মাদরাসার পাঁচ ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় কালাই থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নিয়েছে কালাই থানা।  উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল হাসান জানান অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।