‘মিল্লাতের আঙিনায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পরিবর্তে পূর্ণ অধ্যক্ষ নিয়োগের এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেছেন গাজীপুর মহানগরীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার মাঠ, মূল রাস্তা, প্রশাসনিক ভবন ও শহীদ আব্দুল মালেক অডিটরিয়ামের সামনে জড়ো হয়ে তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। হাজারো শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নিজ নিজ ক্লাস ক্যাপ্টেনরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভারপ্রাপ্ত নীতি হটাও, মিল্লাতকে বাঁচাও’, ‘দাবি মোদের একটাই, প্রিন্সিপাল নিয়োগ চাই’, ‘মিল্লাতের দাবি একটাই, অধ্যক্ষের নিয়োগ চাই’, ‘কোনো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চলবে না’, ‘উই ওয়ান্ট প্রিন্সিপাল’, ‘জনে জনে খবর দে’, ‘সিন্ডিকেটের কবর দে’, ‘মিল্লাতের আঙিনায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টঙ্গী ক্যাম্পাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখনও পূর্ণ অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আন্দোলনের সময় অধ্যক্ষ নিয়োগের পর অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও করার দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী— এত বড় ক্যাম্পাস তবুও একটা ক্যান্টিন নেই। ক্যান্টিন খুলতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রতিটি তলায় বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
আন্দোলনে আলিম প্রথম বর্ষের তারেক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হায়ারম্যাথসহ বিজ্ঞান বিভাগে যোগ্য শিক্ষক নেই। সঠিক পাঠদান দেওয়া হয়না। আরবির শিক্ষক আরবি না পড়িয়ে নিউরোলজি পড়ান। তাদের ক্লাসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইংরেজি পড়ানো হয় না। ইংরেজি না পড়িয়ে ইতিহাস পড়ানোর আবরণে রোমান্টিকতা শেখানো হয়।
আরো পড়ুন: বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত করায় ভিসি বাংলোর ইমামতি চলে যায় জাওয়াদের
ফাজিল শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, গত মঙ্গলবারে আমরা ক্লাস বর্জন করেছি। অধ্যক্ষ নিয়োগকে ইঙ্গিত করে মাহিন বলেন, মানুষের দেহের প্রধান হচ্ছে মাথা। একটি মাথা যখন ঠিকঠাকভাবে কাজ না করে, তখন দেহটি অচল হয়ে পড়ে। আর যখন একটি দেহের মাথাই না থাকে, তখন ওই দেহই ঠিক থাকে না। আমাদের সেই মাথা না থাকার কারণে মিল্লাতের প্রতিটা অঙ্গে অঙ্গে পঁচন ধরে গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে মাদ্রাসার শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং কিছু দিনের জন্য সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সময় না দিয়ে দ্রুত তাদের এক দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবিতে অনড়।