আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ রক্ষার দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন
ঢাকার বকশিবাজারের সরকারি আলিয়া মাদরাসার খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার ‘বকশিবাজার মাঠ রক্ষা কমিট’র ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। এছাড়া আলিয়া মাদ্রাসা, ড. শহিদুল্লাহ কলেজ, নবকুমার ইনস্টিটিউশন, তিব্বিয়া হাবিবীয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ মাঠটি এলাকার শিশু কিশোরদের খেলাধুলার জন্য দরকার। এ স্থানের আশেপাশে ছয়টি মসজিদ রয়েছে। মাঠের মালিকানাও মাদ্রাসার বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারাও চাইছে মাঠটি তাদের দখলেই থাক। ওদিকে কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মাঠের মালিকানা তাদের। যদিও ১১ বছর আগে মাঠটি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য শাহদাত হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ আলিয়া মাদ্রাসার মাঠটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চক্রান্ত করছে। এর আগে মাদ্রাসা মাঠটি তারা নিজেদের দাবি করে এলেও এখন সেখানে মসজিদ নির্মাণের কথা বলছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বক্তারা বলেন, পুরান ঢাকায় এটি ছাড়া খেলাধুলার কোনো মাঠ নেই। সকাল এবং বিকালে বকশিবাজার, হোসনি দালান, খাজে দেওয়ান, লালবাগ, চকবাজার এলাকার শিক্ষার্থী ও ক্রীড়ামোদী মানুষ এখানেই খেলাধুলা করে। মাঠটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় বিনা বাধায় বিভিন্ন সময় ক্রিকেট, ফুটবলের টুর্নামেন্টও অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও আশপাশের অনেক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্যও মাঠটি ব্যবহার করা হয়। এর বাইরেও দুই ঈদের জামাত, জানাজা নামাজের জন্যও মাঠটি ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাঠটি কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে এলাকার মানুষ খেলাধুলা করার মতো কোনো সুযোগ পাবে না। মাঠটি যেন সবার জন্য আগের মতো উন্মুক্ত থাকে সেই দাবি তাদের।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা ইয়াসিন আহমেদ সুমন নামের একজন মানবাধিকার কর্মী বলেন, জন্মের পর থেকে আমরা জানি এ মাঠ আলিয়া মাদ্রাসার। কিন্তু হঠাৎ করে এ মাঠটি কারা কর্তৃপক্ষ নিজেদের বলে দাবি করছে। এটা কোনো ভাবে মেনে নেয়া যাবে না। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে মাঠ রক্ষা করবো।
খাজে দেওয়ানের স্থানীয় যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বলেন, এ মাঠে খেলাধুলা করে অনেকেই জাতীয় খেলোয়াড় তৈরি হয়েছেন। এলাকার ছাত্ররা এ মাঠে খেলাধুলা করে। অনেক সংগঠন টুর্নামেন্টের জন্যও মাঠটি ব্যবহার করেন। কিন্তু মাঠ না থাকলে এরা কোথায় যাবে?
আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাগর আহমেদ শাহীন বলেন, এ মাঠ আলিয়া মাদ্রাসার। কোনোভাবেই মাঠ কাউকে দখল করার সুযোগ দেয়া হবে না। মাঠ রক্ষায় প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।