২০২৪ সালে মাদ্রাসার ছুটির ৬০ দিন, তালিকা প্রকাশ
সরকারি ও বেসরকারি (স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল) মাদ্রাসার জন্য ২০২৪ সালের শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করেছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা অনুসারে, ২০২৪ সালে সরকারি ও বেসরকারি মাদ্রাসার মোট ছুটি ৬০ দিন। এর মধ্যে তিন দিন প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সংরক্ষিত ছুটি। সব ছুটির তালিকা দেখা যাবে এ লিংকে।
সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) ব্যতীত বছরে মোট ছুটি ৬০ দিন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকর্তৃক যেসব সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে) এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করা হবে, সেসব দিন উক্ত ৬০ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
সংরক্ষিত ছুটি ভোগ করলে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবরে অবহিত করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন নির্ধারণ করায় প্রতিটি মাদ্রাসা যথাযথ পাঠপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সিলেবাস সমাপ্ত করবেন।
সরকারি ও বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।
প্রথম কর্মদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদ্যাপন করতে হবে। প্রতিটি মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য উল্লিখিত সময়সূচি মোতাবেক অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ মাদ্রাসার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না, তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।
কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া যাবে না, সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না এবং সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।
ছুটির সময়ে অনুষ্ঠেয় ভর্তি/অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে মাদ্রাসা খোলা রাখতে হবে।
উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ও অন্যান্য পরীক্ষার সময় প্রয়োজনে মাদ্রাসা খোলা রাখতে হবে।
পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র থাকলে উক্ত মাদ্রাসায় পরীক্ষার সময় বিকল্প ব্যবস্থায় এবং কেন্দ্র ব্যতীত অন্য মাদ্রাসায় যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। কোনো অবস্থাতেই পাঠদান/শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা যাবে না।
প্রতিটি মাদ্রাসায় সরকারঘোষিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২৪ সনের জন্য শিক্ষার উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা প্রণয়নক্রমে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করতে হবে।