চার মাদরাসা ছাত্র পিটিয়ে যখম, শিক্ষক পলাতক
মাদারীপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসর ৪ ছাত্রকে মারধর করে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক ছাত্রর আঙ্গুল ও অন্য ছাত্রর হাত যখম হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটছে মাদারীপুরের বাশগাড়ি ইউনিয়নের খাশেরহাট বন্দরের খাশেরহাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিমখানা মাদরাসায়। আহত শিক্ষার্থীরা একই গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও রাতে এ ঘটনা ঘটনা প্রকাশ পায়। এরপর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালাতক রয়েছেন।
কালকিনি উপজেলার ইউএনও এবং থানা অফিসার (ওসি) ঘটনাস্থান পরির্দশ করে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিকেলে মাদরাসার ছাদে খেলা করার সময় একটি মুখপোড়া হনুমান আসে ছাদের উপর। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুঁড়ে। এ ঘটনায় মাদরাসার প্রধান হুজুরের কাছে বিচার দিলে হুজুর তাদের বকাঝকা দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে চলে যান। এরপর মাদরাসার ক্লাশ শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ ৪ শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাবিবর আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে লাথি ও কিল ঘুষি দিয়ে যখম করেন। এতে সাইম প্যাদার হাত যখম হয় ও আবির হোসেন এর বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। তারা উভয় প্রথম জামাতের ছাত্র।
এ ঘটান জানাজানি হলে অভিভাবকসহ অন্যান্যরা মাদরাসা ঘিরে রাখে। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানা ওসি নাজমুল হাসান ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। এর পরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন। এ সময় ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছি। ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।