০৪ নভেম্বর ২০২৩, ২২:০১
জামেয়া কাসেমিয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি
জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার আটককৃত শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ। শনিবার (৪ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা, নরসিংদী। জামেয়া যুগ যুগ ধরে সৎ দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে দেশ শ্রেষ্ঠ অসংখ্য আলেমে দ্বীন তৈরির পাশাপাশি বহু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল সরবরাহে এর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। ধূমপান ও রাজনীতি মুক্ত এ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনসহ কু-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস পরিচালনার জন্য সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক ক্লাসের মেধাবী ছাত্রদের সমন্বয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট পরিচালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় পরীক্ষার সময় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয় নিয়মিত। সেই লক্ষে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষার্থীদের কতিপয় ছাত্র মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৩০ অক্টোবর, দুপুর ১ টার দিকে অধ্যক্ষ মহোদয়ের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মন্দী ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে- শিহাব উদ্দিন, তানভীর হোসেন, নাঈম হাসান, আবু সুফিয়ান, আব্দুল্লাহ সরকার (ক্রমে দাখিল পরীক্ষার্থী ২৪ইং), আমিনুল ইসলাম (ফাজিল ২য় বর্ষ)।
প্রেস হতে ফেরার পথে হঠাৎ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ তাদের ঘিরে ফেলেন এবং সে স্থান হতে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যান। অবশেষে আমাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করে এবং তথ্য প্রমাণ ছাড়াই রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত পুরনো একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে কোর্টে চালান করে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কয়েকদিন পূর্বে আমাদের মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কে বাসার গেট ভেঙে ধরে নিয়ে মাধবদী থানায় একটি মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করা হয়। তার অনুপস্থিতিতে ছাত্রদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের এ ধরণের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সেই সাথে আটককৃত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এ ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাত থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।