২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:১২

কওমি মাদ্রাসায় বিদেশি শিক্ষার্থী বাড়ছে

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী   © ফাইল ফটো

দেশের কওমি মাদ্রাসায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের অধিকাংশই এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। এটিকে সম্ভাবনার বলে মনে করছেন মাদ্রাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের মর্যাদা দিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রতিবছরই কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা গেলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে বাংলাদেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে তারা অভ্যস্ত হয়ে যান। পরবর্তীতে বেশ ভালো ভাবেই এখানকার পরিবেশের সাথে মানি নেন তারা। নিজেদের প্রয়োজনে অল্পস্বল্প বাংলাও রপ্ত করছেন তারা।

সাভারের শাহীবাগের মারকাযুল উলূম আশ-শরিইয়্যা মাদ্রাসার মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাকিমী বলেন, আমি পাঁচ মাস ধরে এখানে আছি। এখানকার লেখাপড়ার মান আনেক ভালো। পরিবেশও ভালো। সব মিলিয়ে ভালো আছেন তিনি।

মালয়েশিয়ার আরও এক শিক্ষার্থী ওমাহাম্মদ নূর হিশাম বলেন, আমরা এখানে ভালো আছি। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কওমি শিক্ষার্থীদের পছন্দ ভারতের আলি গড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরবের মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশের মাদ্রাসা থেকে কোরআনের হাফেজ ও আলেম হবার স্বপ্ন নিয়ে এসিছি। আলহামদুলিল্লাহ। পাঁচ মাসের মধ্য আলেম হয়ে যাবো। 

মো. নূর নবী নামে আরেক মালয়েশিয়ান বলেন, এখানকার বন্ধুরা অনেক ভালো ব্যবহার করেন। এখানকার খাওয়া দাওয়া অনেক ভালো। একটু ঝাল। আমার কাছে কাচ্চি বিরিয়ানিটা অনেক ভালো লাগে। 

জানা গেছে, দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে মাদ্রাসা শিক্ষাক্রমে মেকানিক্যাল, ড্রাইভিং, কম্পিউটার, ব্যবসায়ী শিক্ষা ইত্যাদি কারিগরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষায় বিদেশি শিক্ষাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মাওলানা জিয়া ইবনে কাসেম বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ, ইন্দোনেশিয়া, এমনকি চীন থেকেও শিক্ষার্থী পড়তে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কারণ, এখানে লেখাপড়ার মান ভালো।