০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৭

শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিক্ষার্থীর পায়ে পচন

মানিকগঞ্জ জেলা মানচিত্র  © ফাইল ছবি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের বেতের আঘাতে এক শিশু শিক্ষার্থীর পা পচন ধরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মো. নাহিদ মোল্লা (১২) নামের শিক্ষার্থীর ডান পায়ের একাংশের মাংস কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পিতা। অসুস্থ শিশুটি এখন মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নাহিদ মোল্লা উপজেলার বাহিরচর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টুর ছোট ছেলে। এখন পর্যন্ত নাহিদের পায়ে দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার টাকা জোগারে হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম।

নাহিদের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টু জানান, ছেলেকে কুরআনে হাফেজ বানানোর জন্য দেড় থেকে দুই বছর আগে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করায়। গত কুরবানি ঈদের কয়েকদিন পর মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন আমার ছেলের ডান পায়ে সজোরে বেত্রাঘাত করেন। কিন্তু শিক্ষকের ভয়ে আমাকে কিছুই বলেনি। পরে অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে গত ৩০ আগস্ট নাহিদকে মুন্নু মেডিকেলে ভর্তি করাই। এঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন নাহিদের বাবা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নাহিদ মোল্লা বলেন, দেড় মাস আগে আমার পায়ে সজোরে বেত্রাঘাত করেছিলেন আলামিন স্যার। অনেক সহপাঠী দেখেছে। শিক্ষকের ভয়ে পরিবারের কাউকে ঘটনাটি বলিনি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক মোসাদ্দেক বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে আমাকে অবগত করা হয়েছে। ছেলেটিকে সুস্থ করতে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা করা হবে।