তা’মীরুল মিল্লাত শিক্ষার্থীদের ফোন চেক করা নিয়ে উত্তেজনা, ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার (মূল ক্যাম্পাস) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোন জোরপূর্বক চেক করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে।
আজ রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ দেখায়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্য এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত গত ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে কিছু যুবক নিজেদের তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র দাবি করা নিয়ে। ওসব যুবকরা তা’মীরুল মিল্লাত ছাত্রদের পক্ষ থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা’মীরুল মিল্লাত ক্যাম্পাসের ছাত্ররা যারা সেদিন সমাবেশে গিয়েছিল তারা মিল্লাতের ছাত্র নয় বলে অনলাইনে চিহ্নিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে বিকালে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের ফোন চেক করে। এসময় নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীরও ফোন চেক করে। এসময় ওই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়।
মার খাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলে গিয়ে তার রুমমেটদের ডেকে নিয়ে আসলে ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে তার রুমমেটদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরবর্তীতে ফোন চেক করা ইস্যুতে উভয় পক্ষের মাঝে এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলে পরে সন্ধ্যার দিকে একদল যুবক এসে মাদ্রাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় মাদ্রাসার মেইন গেট বন্ধ থাকলে, মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে বাহিরে শ্লোগান দেয়। এসময় মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে আটকা পড়ে।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মোবাইল সবার ব্যাক্তিগত বিষয়। আজকে বিকেলে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফোন চেক করা শুরু করে একদল লোক। এসময় শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর তারা চলে গিয়ে,অনেক লোক নিয়ে রাস্তা থেকে মাদরাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস বলেন, আমি মাদ্রাসার বাহিরে ছিলাম। তবে ঘটনা শুনেছি কিছু লোকজন মাদ্রাসায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় এমপি, মিল্লাত গভর্ণিং বডির সদস্যারা আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষে থেকে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।