শান্তি সমাবেশে নিহত মাদ্রাসাছাত্র রেজাউল হত্যার বিচার দাবি হেফাজতের
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হাফেজ রেজাউল করিমকে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ দাবি জানানো হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সভায় সংগঠনের আমির শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্ব করেন।
হেফাজত নেতারা সভায় বলেন, রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের এখন পর্যন্ত বিচারের আওতায় না এনে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের দ্রুত মুক্তি এবং ২০১৩ সালে থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে হওয়া মামলা প্রত্যাহারে বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সবার মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানায় হেফাজত।
সভায় ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ওই কমিটির সদস্যদের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি যথাযথ পদ বিন্যাসের জন্য সংগঠনের মহাসচিবকে আহ্বাবায়ক করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়।
হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ মুহাম্মদ ইয়াহইয়ার ইন্তেকালে তার পদ শূন্য হওয়ায় হাটহাজারী মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী এবং আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী উভয়কে সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদে মনোনীত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সভায় সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ্ মুহা. ইয়াহইয়া, সহ-সভাপতি আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী ও উপদেষ্টা আল্লামা জালাল আহমদের ইন্তেকালে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।