২৬ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫৯

কম্পিউটার-প্রিন্টার না থাকলে শিক্ষক নিয়োগ নয়

পরীক্ষার হলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ফটো

মাদ্রাসায় কম্পিউটার-প্রিন্টার না থাকলে আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক-প্রভাষক ও অফিস সহকারীর দুইটি কর্মচারী পদে জনবল নিয়োগ দেয়া যাবে না। একই সাথে এমপিও সংক্রান্ত কাজ বাজারের দোকান থেকে না করাতে মাদ্রাসা প্রধানদের বলা হয়েছে। 

মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, প্রায় সব মাদ্রাসাতেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় সব মাদ্রাসায় আইসিটি প্রভাষক-সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। তা থাকা সত্ত্বেও পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, অধিকাংশ মাদ্রাসার দাপ্তরিক কাজে যেমন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, রেজুলেশন তৈরি, হিসাব সংরক্ষণ, কোন বিষয়ে আবেদন, অনলাইন এমপিও আবেদন, সংশোধনী আবেদন ইত্যাদির কাজ মাদ্রাসার না করে বাজারে বা দোকানে গিয়ে করেন। ফলে মাদ্রাসার দাপ্তরিক গোপনীয়তা বিঘ্নিত হয়। বিভিন্ন ডকুমেন্টসের জাল-জালিয়াতির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এধরণের জাল-জালিয়াতির কারণে অনেক মাদরাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল ও সাময়িক স্থগিত করতে হচ্ছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, অনেক মাদ্রাসায় আইসিটি শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী কর্মরত থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আইসিটি বা কম্পিউটার বিষয়ক পাঠদান বা অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য প্রিন্টারসহ কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। 

এসব জটিলতা এড়াতে মাদ্রাসাগুলোকে গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি বা স্থানীয় জেলা পরিষদ-উপজেলা পরিষদ বা স্থানীয় জনগণের সহায়তায় অথবা মাদ্রাসার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রিন্টারসহ কমপক্ষে একটি কম্পিউটারের ব্যবস্থা করতে হবে। মাদ্রাসায় প্রিন্টারসহ কম্পিউটার না থাকলে এখন থেকে  আইসিটি প্রভাষক-সহকারী শিক্ষক বা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বা অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারীর শুণ্যপদে নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। মাদ্রাসার দাপ্তরিক কাজ বাজারে বা দোকানের কম্পিউটার থেকে করা যাবে না। আর মেমিস অনলাইন সিস্টেমে এমপিও আবেদনসহ অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য দেয়া পাসওয়ার্ড অধ্যক্ষ-সুপার ছাড়া অন্য কারো কাছে থাকা যাবে না। 

অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, এমপিওর পাসওয়ার্ড অন্য কোনো ব্যক্তি বা দোকানদারের কাছে থাকলে অধ্যক্ষ-সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।