জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা-অধ্যক্ষ-শিক্ষককে শোকজ
দিনাজপুরে এক শিক্ষককে জালিয়াতি করে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ওই তিনজনকে শোকজ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. লুৎফর রহমান।
শোকজের চিঠি পাওয়া ওই তিনজন হলেন- বিরল উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাবেয়া খাতুন, উপজেলার বুনিয়াদপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল ওয়াকিল এবং পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষক জাফরিন আক্তার।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘২০২২ সালের মে মাসে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সেলে অনলাইনে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলাধীন বুনিয়াদপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কর্তৃক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জালিয়াতির মাধ্যমে বর্ণিত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) জনাব জাফরিন আক্তার (R2017348) কে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রভাষক (জীববিজ্ঞান) পদে পদোন্নতি পদে অগ্রাহায়ন করা হয়। যা সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের আদেশ ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার সামিল।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিও আবেদন অগ্রায়ণ করায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)” এর ১৭.৩; ১৮.১ (গ); ১৮.১ (ঙ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন আপনার এমপিও বেতন-ভাতার সরকারি অংশ স্থগিত/স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে না সে মর্মে আগামী ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’’