তা’মীরুল মিল্লাতে বেড়েছে কনজাংটিভাইটিস, আতঙ্ক নয় সতর্কতার পরামর্শ
সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ উঠা (কনজাংটিভাইটিস) রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী ক্যাম্পাসেও থেমে নেই এর প্রকোপ। প্রতিবছর গ্রীষ্মে এ রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ।
এ ছোঁয়াচে রোগ হলে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। চোখ উঠলে কখনো কখনো এক চোখে অথবা দুই চোখেই জ্বালা করে এবং লাল হয়ে চোখ ফুলে যায়।
চোখ জ্বলা, চুলকানি, খচখচে ভাব থাকা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে বার বার সাদা ময়লা আসা, কিছু ক্ষেত্রে চোখে তীব্র ব্যথা এ রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। তবে এ সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই বেশি পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আলিম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এহসানুজ্জামান ও আরাবি চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে জানায়, প্রতিদিনের পড়াশোনা ও স্বাভাবিক কাজকর্ম শেষ করে হোস্টেলে গতরাতে ঘুমিয়ে গিয়েছি এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের চোখ ব্যাথা করছে, কচলাচ্ছে ও জ্বালা শুরু হয়েছে। তখন আয়নার সামনে গিয়ে দেখি লাল হয়ে সম্পূর্ণ চোখ ফুলে গেছে।
দাখিল শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী মুবাশ্বির আলম জানায়, স্বাভাবিকভাবেই পড়াশোনা, প্রতিদিনের কাজ করছি। কোন ধরনের ঠান্ডা জ্বর কাশি কিছুই ছিল না। একদম স্বাভাবিক-সুস্থ ছিলাম। হঠাৎ করেই পরশুদিন বিকেল বেলা চোখের মধ্যে কেমন যেন জ্বালা শুরু হলো এবং রাতের মধ্যেই চোখ লাল হয়ে উঠলো। এখন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ ব্যবহার করছি।
এ বিষয়ে মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) মুহাম্মাদ ইসহাক আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চোখ ওঠা একটি সংক্রমণ জনিত ছোঁয়াচে রোগ, একে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসময় চোখের রোগবালাই হয়ে থাকে। এর থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানানো দরকার। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং ক্যাম্পাস প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে বাড়িতে অবস্থান করবে।