জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের অপ্রকাশিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ প্রকাশ
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের ৭২ বছর আগে রচিত পিএইচডি থিসিস 'Political Parties in India' প্রকাশ করেছে দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডে। অনলাইন, অফলাইন দুইভাবেই সংগ্রহ করা যাবে বইটি।
বাংলা ভাষাভাষী বিদগ্ধ পাঠকরা আবদুর রাজ্জাককে জ্ঞানতাপস হিসেবে। ঢাকার সমাজে জাতীয় এই অধ্যাপক ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম- এক অসামান্য দরদী মানুষ। বিদ্যানুরাগে সমকাল থেকে অগ্রগামী, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় তিনি হয়ে আছেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পাণ্ডিত্যে, জ্ঞানে ও দেশের মঙ্গল কামনায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় বিক্রি হলো শিক্ষার্থীদের টিকা
তার এই থিসিসটি নিয়ে আজ-ও মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহলের শেষ নেই। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন অধ্যাপক রওনক জাহান এবং শ্রমসাধ্য সম্পাদনার কাজটি করেছেন অধ্যাপক আহরার আহমদ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ফারসিম মান্নান মোহাম্মদি বইটি সম্পর্কে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেন, কিংবদন্তীতুল্য প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের অপ্রকাশিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ সম্প্রতি প্রকাশ পেল। আমরা যারা রাজ্জাক স্যারের মিথ কেবল মুখে শুনেছি, কিংবা ছফা ভাইয়ের লেখনীর মাধ্যমে জেনেছি, এখন সুযোগ হবে সরাসরি যাচাই করার। সত্তর বছরের পুরনো যুক্তিতক্কো কতখানি হাল-নাগাদ কিংবা উপযোগী চিন্তন, সেটাও একটা দেখার বিষয়। গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক হ্যারল্ড লাস্কি এই থিসিস সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছিলেন, আদৌ করেছিলেন কিনা, সেটাও ঔৎসুক্যের বিষয়। হ্যাপি রিডিং।
দি ইউনিভার্সিটি প্রেসের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষ্যে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইটি পাওয়া যাবে ৩০% মূল্যছাড়ে। ফেসবুক অর্ডারের পাশাপাশি ফার্মগেটে ইউপিএল-এর কার্যালয় থেকে বইটি সরাসরি সংগ্রহ করা যাবে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবী। ১৯৭৩ সালের প্রথমদিকে ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পিএইচডি প্রদান করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত করে।
আরও পড়ুন: জিপিএ ৫ পেয়েও ভর্তির সুযোগ পায়নি ১২ হাজার শিক্ষার্থী
তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত ছিল বিশেষত প্রাচ্যতত্ত্ব, ইতিহাস ও রাজনীতিতে। তিনি ‘শিক্ষকদের শিক্ষক’ হিসেবে অভিহিত হতেন। তার অনুগামীদের মধ্যে শুধু বুদ্ধিজীবী নয়, শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাও ছিলেন। আহমদ ছফা রচিত ‘যদ্যপি আমার গুরু’ এই বইটি থেকেই মূলত তার জীবনযাপনের বেশ খানিকটা ধারণা ও ছায়া পাওয়া যায়।