এই বসন্তে
এই বসন্তে যদি দখিনা দুয়ার খুলে যায়
তোমার হেয়ালি চুলগুলো ছড়িয়ে রেখো কেবল
অসম্ভব সুন্দর করে যেমন রক্তজবা ফোটে;
দিনের প্রথম সূর্য থেকে চাঁদনী রাতের মিটমিটে আলোর মতন
কপালের কাল টিপ বদলে একখানা সাদা রঙয়ের- না না
বাসন্তী মেঘের মতো রঙ খুঁজো বরং আজ থেকে।
শুভ্র-ধূসর আকাশের নীলে জড়িয়ে, সাদা ব্লাউজে, আবছা নীল রঙ্গা শাড়ী পরে
দুদণ্ড এসো না হয় নিশুতি বিকেল ঝড়ের পরে।
নাহ পায়ে নূপুর জড়াবেনা একদম
ধূলি-ধূসরিত গ্রাম্য মেয়ের মতন একদম নূপুর জড়াবেনা তুমি।
আমার তান কেটে যায়;
চুলের দুপাশ ছড়িয়ে কাঠগোলাপে বিনুনিগুলো কাঁধ বেয়ে নেমে আসবে ক্রমশ
গন্ধময়ীর আঁচলের পাড় ঘেঁসে কিংবা স্বচ্ছ মেঘময়ী ঊর্ধ্বাঙ্গ হয়ে।
এই অপরুপে খেয়ালি বিকেল হেয়ালি হয়ে যাবে চিরচেনা
পড়ন্ত ফুলের মতন চির উন্মনা এ প্লেবগ ক্রমশ আরক্ত হয়ে ঝরে পড়বে পথে
প্রবল ধংসের দ্বারে দাঁড়িয়ে আমার সমস্ত ছায়ার মতো বিষণ্ণ এ অন্তিম যাত্রায়
সঙ্গী হবে কেবল ভরা শূন্য়তা আর পশলা সমেত অঝোর বৃষ্টি।
তারপর শ্রীময়ীর কপোল বয়ে প্রবল ঝড়ের মতো ঝরে পড়া আমি;
এই বসন্তে আমি আর কখনো হারিয়ে যাবো না।
(কাব্যগ্রন্থ: অরন্য)
লেখক: শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়