আজ এ তুমিটাই নিখোঁজ
হৃদয় নিঃসঙ্গ চিল একটা পাখির গান
সেবার এপ্রিলে আমার জন্মদিন ছিলো,
তোমার থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা টুকুও মেলেনি,
তাচ্ছিল্যের সাথে বিপরীতমুখী নিরবতা ছিলো তোমার,
কে জানে তোমার আবার অফিসসহ রাজ্যের শত ব্যস্ততা!
যতবার এটা নিয়ে তোমাকে চিঠিপত্রে হৃদয়ের সমস্ত আকুলতা, অনুভূতিগুলো মিশ্রিত করে নেমন্তন্ন পাঠাই, ততবার তোমার অজ্ঞাত জবাবে হৃদয়ের হিমঘরে বসন্তের রঙবেরঙের সমস্ত আক্ষেপ।
বুকভর্তি জমে থাকা ইচ্ছেগুলি একটু একটু করে নিভে যাচ্ছিল তোমার খামখেয়ালিপনায়।
ডাহুকী পাখির সুরে শূন্যতার আকাশনীলে আমার শরীরের ছলছল দুটি চোখ ডুবে গেলো আলমডাঙ্গা গাঁয়ের নাওহীন মাঝির বিষাদ নদে।
মৌনতার কুঁড়েঘরে প্রণয় হয়েছিলো,
টিএসসি থেকে কিনে নেবো তোমার জন্য লাল, নীল, কমলা, বেগুনীসহ নানানরঙ্গের চুড়ি,
আর না হয় খোঁপায় গুজে দেবো তোমার শিউলিফুল।
ইচ্ছে ছিলো আঙুলে আঙুল অথবা হাতে হাতে হাত রেখে হেঁটে যাবো এ দিক দিগন্ত,
শেষ হতে দেবোনা গহীনের এ পথ।
হৃদয়ের ব্যাকরণে তুমি আমার অনুভূতির কাঠগোলাপই রয়ে গেলে...
তোমার মুগ্ধ করা চুলে আলতো করে ছুঁয়ে দেবো আমার আঙুলের স্পর্শ নকশিকাঁথা।
সমুদ্রের স্রোতে ডুব দেবো দুজনে,
যেখানে এসব বিরামহীন কোলাহল দুঃখ, ব্যবচ্ছেদ,
উড়ে যাবে গাঙচিলের ঠোঁটে।
অথচ তোমারে সংবাদ দিতে গিয়ে
সুখের মানচিত্রে আজ এই তুমিটাই নিখোঁজ।