তিন গুণীজন পেলেন রবীন্দ্র পুরস্কার
রবীন্দ্রসাহিত্যে গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিন গুণী ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন, অধ্যাপক সফিউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল এবং রবীন্দ্রসংগীত চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে শিল্পী ইকবাল আহমেদ।
বুধবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও শিল্পীর হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। ‘রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ: শিক্ষা ও স্বদেশ ভাবনা’ শীর্ষক বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনোয়ারুল করীম। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র-গবেষণা এবং রবীন্দ্রসংগীত প্রসারে অবদানের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার দিয়ে আসছে। এছাড়া পাঁচ খণ্ডে রবীন্দ্রজীবন প্রকাশের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।ইতোমধ্যে তিনটি খণ্ড প্রকাশ পেয়েছে।
অধ্যাপক আনোয়ারুল করীম বলেন, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ও স্বদেশভাবনা অনন্যতার দাবি রাখে। তার শিক্ষাভাবনা ছিল প্রায়োগিক এবং বৈজ্ঞানিক। তিনি জমিদারির দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জীবন মানোন্নয়নে তার ভাবনার অন্ত ছিল না।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনার মূলে ছিল আনন্দের ধারণা। রবীন্দ্রনাথ দেশপ্রেমে স্নাত ছিলেন তবে কোনোভাবেই সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী শামা রহমান এবং রবীন্দ্রপুরস্কারে ভূষিত ইকবাল আহমেদ। রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন রূপা চক্রবর্তী।