তারেক রহমানকে ঘিরে গুজব অসত্য, সঠিক তথ্য তুলে ধরলেন ব্যারিস্টার মাহাবুব
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরেননি কেন, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজবের বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক ও ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব গুজবকে ‘ভিত্তিহীন ও অসত্য’ দাবি করে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন।
অনেকে বলেন, তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিক, এটা সত্য নয় জানিয়ে স্ট্যাটাসে ব্যারিস্টার মাহাবুব জানান, তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিক হয়েছেন, এ খবরটি সম্পূর্ণ গুজব। একইভাবে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না, কিংবা গোপনে ঢাকায় আসছেন, এসব দাবিকেও অসত্য বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ব্রিটেনের কোম্পানি হাউজের একটি তথ্য সম্পাদনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে এক সম্পাদককে তিনি সঠিক লিংক ও আইনি ব্যাখা দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন বলেও জানান।
ব্যারিস্টার মাহাবুব তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্বের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তারেক রহমান। ঢাকায় থাকা চিকিৎসক দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিশেষজ্ঞদের অনলাইনে যুক্ত করে পরামর্শ গ্রহণ করেছেন তিনি।
তিনি লেখেন, ‘তারেক রহমান চাইলে আগেই ফ্লাইটে উঠে মায়ের কাছে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।’ এ ছাড়া কাতারের আমিরের সহায়তায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করেন তারেক রহমান, বলেছেন ব্যারিস্টার মাহাবুব।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও পরিষ্কার ব্যাখা দেন ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া যেকোনো ব্যক্তি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে নিজের দেশ ছাড়া অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে বাংলাদেশে ফিরতে হলে তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পাস নিলেই যথেষ্ট, এতে যুক্তরাজ্যে তাঁর সেটেলমেন্ট স্ট্যাটাসের কোনো ক্ষতি হয় না।
তিনি আরও জানান, তারেক রহমান চাইলে যেকোনো সময় বাংলাদেশি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে দেশে ফিরতে পারেন। অনেক রিফিউজি এমনভাবেই দেশে যাতায়াত করেন এবং সাধারণত কোনো জটিলতার মুখে পড়েন না।
তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, এ প্রশ্নে ব্যারিস্টার মাহাবুব বলেন, বিষয়টি নির্ভর করবে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অগ্রগতি, তিনি লন্ডনে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতির উন্নতি এবং বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেওয়া কৌশলের ওপর।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি লেখেন, ‘আমরা যদি মন্তব্য করার আগে নিজেদের অবস্থানের সঙ্গে যাকে নিয়ে কথা বলছি তার অবস্থানও বিবেচনা করি, তবে সমাজে অযথা বিতর্ক কমবে।’ তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানান।