শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৫ জানুয়ারি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মো. আব্দুস সালাম এ দিন ধার্য করেন। আজ অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আসামিপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর একটি অনলাইন মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করে বিদেশে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। মোট ৫৭৭ জন বিভিন্ন দেশ থেকে সেই জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।
ড. রাব্বি আলমের হোস্টিংয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা যায়—অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে না দেওয়ার কথা বলেন এবং সরকার উৎখাতের ঘোষণা দেন। এই কার্যক্রমে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্রের উপাদান পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এর ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে গত ১৪ আগস্ট তিনি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্যান্য আলোচিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক এমপি ও যুব মহিলা লীগের সাবেক নেতা সাবিনা আক্তার তুহিন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলম, জয় বাংলা ব্রিগেড সদস্য কবিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, জাকির হোসেন জিকু, প্রফেসর তাহেরুজ্জামান, এ কে এম আক্তারুজ্জামান, আজিদা পারভীন পাখি, অ্যাডভোকেট এএফএম দিদারুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান, সাবেক এমপি সৈয়দ রুবিনা আক্তার, সাবেক এমপি পংকজ নাথ, লায়লা বানু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।