২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩৮

বিটিআরসির ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ১২ আসামির জামিন

বিটিআরসির লোগো   © টিডিসি সম্পাদিত

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ১২ আসামি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈনুল হক, (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল হান্নান, আশিক আহমেদ, গাজী মো. সালাহউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, খালিদ ইসলাম, মো. মাহতাবুল আমিন, সোহেল শরীফ, তাজিন আলম, নাদির শাহ কোরেশী, মীর নাসির হোসেন ও সিসিও মুসফিক মনজুর। 

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে সালমান এফ রহমানের কোম্পানি বেক্সিমকো ও তাদের সহযোগী ২৭ জন ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আত্মসাতের বিরুদ্ধে বিটিআরসি সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় টেলিযোগাযোগ আইন, ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা হয়। আজ এ মামলার ১২ জন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন শুনানি করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শুনানিতে আমরা বলেছি, এ আসামিরা সরকার থেকে বিটিআরসির যে লাইসেন্স নিয়েছিল, সে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে সরকারের ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার দেনা পরিশোধ করেনি। আসামিরা আদালতকে বলেছেন এটা জামিনযোগ্য মামলা। আমরা বলেছি ৪০৬ জামিন অযোগ্য ধারা। তারা টাকা আত্মসাৎ করেছে। পরে উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।’ 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তার ছেলে শায়ান রহমানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) গঠনের পর প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স এবং চুক্তির শর্ত ও বিশ্বাস ভঙ্গ করাসহ প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে আদায়কৃত মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাতে জড়িত ছিল আইওএফ কার্যনির্বাহী কমিটির এসব সদস্য। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক গেটওয়ে খাত কুক্ষিগত করেন সালমান। তার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আইওএফ নামের এ সিন্ডিকেট।

এতে আরও বলা হয়, সালমান এফ রহমানের নির্দেশনায় প্রতি মাসে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা দিতে হতো। তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেডে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটির নামে আইজিডব্লিউ পরিচালনার কোনও লাইসেন্স নেই। মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের নামে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও এর প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন খোদ আইজিডব্লিউ অপারেটররাই।