০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১:২৯

‘তুই নাকি নির্বাচন করবি’—এই বলে আমাকে থাপ্পড় মারে

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন হিরো আলম  © সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগর এলাকায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিথিলা, ম্যাক্স ওভিরা তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে আমার পথ আটকায়। পরে তারা বলে, তুই নাকি ঢাকা থেকে নির্বাচন করবি? এই বলে তারা আমার কানে-মুখে থাপ্পড় মারে।’ 

বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ দিন তার করা হত্যাচেষ্টার মামলায় কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স ওভির কারাগারে রাখার বিষয়ে শুনানির পূর্বে আদালতে উপস্থিত হন হিরো আলম। পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাংবাদিকদের ওই দিনের হামলার ঘটনা জানান।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি সন্ধ্যার সময় আফতাবনগরে ঘুরতে যাই। কিছুক্ষণ পর তিনটা মোটরসাইকেল এসে আমাকে আটকিয়ে কাশবনের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করে অজ্ঞান করে রেখে যায়। আশেপাশের মানুষ এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন মিথিলা নামে একজন মেয়ে, তার স্বামী, ভাই ও ম্যাক্সসহ আরও কয়েকজন আমার ওপর হামলা করেন।’ 

আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাসহ ডিজিএফআই ও র‌্যাবের সাবেক আট ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

হামলার সময়ের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে যখন মারা হয় তখন আসামিরা বলে-তোর তো কলিজা অনেক বড়। তোর অনেক সাহস। তুই নাকি ঢাকা থেকে সামনে নির্বাচন করবি? এ বলে আমাকে কানে মুখে থাপ্পড় মারে। সাদা কালারের হুন্ডাতে ছিল ম্যাক্স। সে বলে, বড় ভাই সে আমার অনেক ক্ষতি করেছে।’ 

হামলার কারণ বর্ণনা করে হিরো আলম বলেন, ‘মিথিলার সঙ্গে আমার একসময় সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে যাওয়ার পর সে বলে- আমি যদি তোকে না পাই, তোকে কেউ পাবে না। এরপর বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনস্তা করে। পরে সে ম্যাক্স অভির সঙ্গে পরিকল্পনা করে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তার জামাই বলেছে, আলম মিথিলাতেই শেষ।’ 

দল ও নির্বাচন করতে চান না জানিয়ে এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘আমি দল গঠন করে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশের বর্তমানে রাজনীতির যে অবস্থা, আমার আর রাজনীতি করার ইচ্ছে নেই। আমি আর নির্বাচনও করতে চাই না। দলও করতে চাই না। যে দেশের মানুষের জন্য এত কিছু করলাম, তারাই আমারে মারে। এদেশের মানুষের কিছু হবে না। দেখেন, আদালতের মতো জায়গায় আমি মাইর খাইছি।

কার জন্য আমি লড়বো? আওয়ামী লীগের সময় তিন বার মার খেয়েছি। আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পর একবার মার খেয়েছি। আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে গিয়ে বিএনপির লোকজনের হাতে মার খেয়েছি। আমি আওয়ামী লীগের কাছেও নিরাপদ না, বিএনপির কাছেও নিরাপদ না।’