১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৪

পাঠ্যবই থেকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বাদ দিতে আইনি নোটিশ

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

২০২৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বাদ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসিন্দা মো. আরিফ। রবিবার (১৭ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন তার পক্ষে এই আইনি নোটিশ পাঠান। শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষায় ‘জৈব বিবর্তন’ শিক্ষাক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের বিজ্ঞান অধ্যায়ে ‘পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ’ এবং জীববিজ্ঞান অধ্যায়ে ‘জীবের বংশগতি ও জৈব অভিব্যক্তি’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বহু বিতর্ক, তর্ক ও মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও বিতর্ক হয়েছিল।

সারওয়ার হোসেন বলেন, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষা কারিকুলামে ডারউইনের থিওরি মানবজন্মের বিবর্তনবাদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা প্রফেসর জাফর সাহেব (মুহম্মদ জাফর ইকবাল) করিয়েছেন। গত আওয়ামী লীগের আমলে এটা ইনক্লুড করা হয়েছে। যেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে, সংসদে আলোচনা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও, এমনকি ক্যাম্ব্রিজের কার্যক্রমসহ অনেক দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে এই বিবর্তনবাদ পড়ানো হয় না।

তিনি বলেন, বিবর্তনবাদ পড়ানো হলে কোমলমতি শিশুদের মনে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়। সেজন্য ক্যামব্রিজের শিক্ষা কারিকুলামে মাধ্যমিক পর্যায়ে তারা এটা ইনক্লুড করেনি। আমরা সেজন্য জনস্বার্থে এডুকেশন সেক্রেটারিসহ সবার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছি, যাতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে এই বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত করা না হয়।

তিনি আরও বলেন, তারা যদি আমাদের নোটিশের পরে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হবো এবং তাদের বাধ্য করব দাবি পূরণের জন্য। আমরা মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি যে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) থেকে মানবজাতির জন্ম হয়েছে, যেটা ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে। আর এই বিবর্তনবাদে বলা হয়েছে, মানুষের সৃষ্টি হয়েছে বানর থেকে। এটা গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে বা উচ্চপর্যায়ে পড়াতে পারে। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে যেহেতু পৃথিবীর কোনো দেশে নাই, আমাদের দেশে এটা থাকা কোনোভাবেই বাঞ্ছনীয় নয়, যেখানে ৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠী। সেজন্যই আমরা জনস্বার্থে এই নোটিশ পাঠয়েছি।