১৩ জুলাই ২০২৫, ০০:৫৮

খতিব হামলার ঘটনায় হামলাকারীর জবানবন্দি, ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

হামলাকারী মো. বিল্লাল হোসেন  © টিডিসি

চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের খতিব, বিশিষ্ট আলেমে দীন মাওলানা আ.ন.ম নূরুর রহমান মাদানীর উপর চাপাতি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া হামলাকারী মো. বিল্লাল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে এ জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। আজ রোববার (১৩ জুলাই) আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ড শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে আসামি বিল্লাল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তার পক্ষে কেউ জামিনের আবেদন করেনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন। হামলার ঘটনার পরদিন, শুক্রবার রাতেই আহত খতিবের ছেলে আফনান তাকি বাদী হয়ে আসামি বিল্লালের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে শনিবার চাঁদপুর শহরে জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামি দলগুলো হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। একই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খতিবের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিবার ও পুলিশ নিশ্চিত করে জানায়, তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বেঁচে আছেন।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১১ জুলাই ২০২৫) জুমার নামাজের পর, যখন পরিকল্পিতভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর সদস্য বিল্লাল হোসেন (৫৫) চাপাতি নিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে খতিব আ.ন.ম নূরুর রহমান মাদানীর উপর হামলা চালান।এলোপাতাড়ি কোপে খতিব গুরুতর জখম হন—এক কান কেটে যায়, গলায় গুরুতর আঘাত পান। পরে মুসল্লিরা হামলাকারীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে মসজিদের বারান্দায় আটকে রাখে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ গিয়ে হামলাকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

আহত মাদানী বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দক্ষিণ গুনরাজি এলাকার ‘মাদানীর মঞ্জিল’-এর বাসিন্দা ও মরহুম মাওলানা জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লিগ এবং শাহতলী, হাজীগঞ্জ ও সাদ্রা মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।