নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, এজাহারে যা লিখলেন ইডেন ছাত্রী
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীর অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সোমবার দিবাগত রাত দুইটায় কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা–পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে ডেমরার সারুলিয়ার আমতলায় নোবেলের বাসা থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারী রাতেই থানায় মামলা করেন। এরপর রাত দুইটায় অভিযান চালিয়ে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদীনী ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যায়নরত ছিলেন। ২০১৮ সালে আসামি নোবেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদীনীর পরিচয় হয়। নোবেল বাদীনীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথাবার্তা বলতেন।
‘একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে তার সঙ্গে দেখা করে বাদীনীকে আসামি নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় নোবেলের নিজ বাসায় নিয়ে আসেন। নোবেলের বাসায় আসার পর বাদীনী বাসা হতে চলে যাওয়ার কথা বললে আসামির সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন আসামির সহায়তায় বাদীনীকে একটি বাসায় আটক করে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।’
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীনী আসামির কথা মতো আসামির বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে মর্মে হুমকি দেয়। বাদীনী আসামি নোবেলের ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। নোবেল তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন বিবাদীর সহায়তায় বাদীনীকে সিঁড়ি দিয়ে চুলের মুটি ধরে টানা হেঁচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীনীর পিতা-মাতা বাদীনীকে চিনতে পারে। বাদীনীর পিতা-মাতা বাদীনীকে খোঁজাখুঁজি করা অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবায় গত ১৯ মে কল দিলে ডেমরা থানা পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগী বাদীনী আসামি নোবেলের বাসা থেকে বের হয়ে আসে।