০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩

জুলাই আন্দোলন শুরু যে কর্মসূচি দিয়ে

২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই শুরু হয় ‘জুলাই আন্দোলন’। ঢাকা বিশ্বকিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশ থেকে সংগঠিতভাবে এই আন্দোলনের সূচনা ঘটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা অংশগ্রহণে সকাল ১১টায় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের মূল দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করা। শিক্ষার্থীরা বলেন, উচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের পরিপন্থী।

সেদিন সকাল থেকেই  বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে ঘুরে আসেন কলাভবন, মলচত্বর, সূর্য সেন হল, মুহসীন হল, বসুনিয়া তোরণ হয়ে আবার ফিরে আসেন রাজু ভাস্কর্যে, আর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মূল ছাত্রসমাবেশ।

আরও পড়ুন: ‘হাসিনার পতন ঘটাইয়া বাড়িত আইয়াম— আইল ঠিকই, কিন্তু লাশ হইয়া’

সমাবেশে ঘোষণা দেওয়া হয় ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, ২০১৮ সালের কোটা পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তনের আগে কমিশন গঠন করে যৌক্তিকতা যাচাই করতে হবে।

আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্টের দেওয়া রায়। সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ। এই রায়ের বিরোধিতায় ৫ জুন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের সূচনা হয়, পরবর্তীতে হাজারো নিরস্ত্র মানুষ প্রাণের বিনিময়ে এই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পতন ঘটে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দীর্ঘদিন নিপিড়ীন নির্যাতন চালানো আওয়ামী লীগ সরকারের। ক্ষমতাসীন দলের সভানেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।