জুলাই ২৪: আল্টিমেটামের শেষ দিন ছিল আজ
২০২৪ সালের ৩০ জুনের আজকের এই দিন ছিল কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহারের দাবিতে দেওয়া শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের শেষ দিন। একই মাসের ৯ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আল্টিমেটামে তারা সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩ম গ্রেডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহারের দাবি জানান। তাদের এ দাবি ৩০ জুনের মধ্যে পূরণ না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন।
৯ জুন ২০২৪ ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলা ভবনের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই মানববন্ধন শেষে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সেদিনের সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভোগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জমান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আমরা কোনো ধরনের কোটা চাই না, সম্পূর্ণ কোটা বাতিল চাই। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সব ধরনের বৈষম্য থেকে দেশকে বাঁচাতে যুদ্ধ করেছেন। তারা চাকরিতে বৈষম্য ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হোক, তা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টি বৈষম্যমূলক। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করেই ২০১৮ সালে তা বাতিল করে দিয়েছিল। এখন সেটি আবার পুনর্বহাল করা হলে তা হবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। এতে মেধাবীরা বঞ্চিত হবেন।’
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এর আগে ৬ জুন বিকেলে কোটাব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে মিছিল বের করা হয়।
তারপর ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিনারের সামনে অবস্থান নেয়।
তার পরের দিন ২ জুলাই থেকে ৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। সবশেষ ৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’-এর ডাক দেয়।