পোল্যান্ডের শিক্ষার্থী টমাস মিগার

চাকরির জন্য নয়, ব্যক্তিত্ব গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি

টমাস মিগার
টমাস মিগার   © ফাইল ফটো

টমাস মিগার। পোল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ রকলো’-এর আইটি ইন বিজনেস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি তার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন তিনি। তার কথাগুলো শুনেছেন জামাল হোসেন রুহানী।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: হ্যালো, টমাস মিগার। আপনি কেমন আছেন? দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
টমাস মিগার: ওয়েলকাম। আমি ভালো আছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই।
টমাস মিগার: জ্বী, অবশ্যই। আমি ‘ইউনিভর্সিটি অফ রকলো’-তে আইটি ইন বিজনেসে অধ্যয়ন করছি। এটি পোল্যান্ডের চতুর্থ সর্বোচ্চ ইকোনোমিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন?
টমাস মিগার: নিজ ব্যক্তিত্বের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছি। চাকরি পাওয়ার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসিনি। তবে আমি নিজের একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে চাই। এ লক্ষ্যে যাবতীয় জ্ঞান অর্জন করতে ‘আইটি ইন বিজনেসে’ অধ্যয়ন করছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিশেষত্ব কি?
টমাস মিগার: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় বিনামূল্যে পড়া যায়। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্যয়বহুল।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পোল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াটা কেমন?
টমাস মিগার: এখানে আমরা উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনার শেষের দিকে একটি পরীক্ষা দেই। এ পরীক্ষা পদ্ধতিকে বল হয় ম্যাচুরা (Matura)। এ পরীক্ষার ফলাফল আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেই এবং মেধা তালিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত করা হয়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি কি কি সুবিধা পান? পোল্যান্ডের অন্যান্য স্তরের শিক্ষার্থীদের কি কি সুবিধা দেওয়া হয়?
টমাস মিগার: বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে ৩০% ভাড়ায় এবং ট্রেনে ৫০% ছাড়ে যাতায়াত করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফলাফল করলে আর্থিকভাবে সহায়তাও প্রদান করা হয়। এছাড়া বৃত্তি, দরিদ্র তহবিল থেকে সহায়তা এবং থাকার খরচও প্রদান করা হয়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কে পরিচালনা করেন? পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনীতি চর্চা কেমন?
টমাস মিগার: আমি হলে থেকে পড়াশোনা করি। আমাদের হলগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নেই।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কি করেন?
টমাস মিগার: শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে জব করতে পারেন। সে ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের ক্লাস হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। তবে আমি কোন কাজ করিনা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?
টমাস মিগার: সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই এটাই আমার চাওয়া।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: টমাস, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় আমাদের সাথে ভাগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
টমাস মিগার: আপনাদের সাথে আমাদের বিষয়গুলো শেয়ার করে আমারও ভালো লেগেছে। পোল্যান্ডে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার সুযোগ হয়েছিলো। আমরা ‘দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র ন্যায় বিশ্বের সকল প্রান্তের শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধন গড়তে চাই।


সর্বশেষ সংবাদ