বেলালের আলাপন: ৭

কার্যকর স্থানীয় সরকারের জন্য জনগণ, প্রশাসন ও সাংসদদের মধ্যে অর্থবহ সম্পর্ক আবশ্যক: ড. তারিকুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বলেছেন বেলাল হোসেন
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বলেছেন বেলাল হোসেন  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।বর্তমানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার হিসেবে ইংল্যান্ডে রয়েছেন তিনি। তারিকুল ইসলাম লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজে ভিজিটিং স্কলার এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধীনে অক্সফোর্ড ট্রানজিশনাল জাস্টিস রিসার্চের সম্পাদক। এছাড়াও তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং রিসার্চ স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতায় যোগদানের পূর্বে সাত বছর জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। 

ড. তারিকুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, তৃণমূল রাজনীতি, মানব নিরাপত্তা এবং টেকসই গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করছেন। তার গবেষণা ভিত্তিক প্রবন্ধসমূহ অক্সফোর্ড, LSE, Springer, SAGE, কেমব্রিজ, রাউট লেজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের সমসাময়িক স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত তার মৌলিক পাঠ্যবই ‘লোকাল গভর্নমেন্ট ইন বাংলাদেশ: কন্টেম্পরারি ইস্যু এন্ড চ্যালেঞ্জেস’ বিশ্বখ্যাত প্রকাশক ‘রাউটলেজ’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি ‘রাউটলেজ’ থেকে প্রকাশিতব্য ‘কোভিড-১৯ ইন সাউথ আফ্রিকা: ইমপ্যাক্ট অন সোসাইটি, ইকোনোমিকস এন্ড পলিটিকস’ শীর্ষক একটি বই সম্পাদনা করেছেন।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার প্রাক্কালে রচিত বই ও স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত গবেষণার বিষয়ে কথা হয় গুণী শিক্ষক তারিকুল ইসলামের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন। 

*বেলাল হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বেলাল হোসেন: বাংলাদেশের প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ কতটুকু সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?

ড. তারিকুল ইসলাম: বাংলাদেশের সংবিধানে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বিশেষ বিধান রয়েছে। সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটে আইন অনুসারে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থার হাতে ন্যস্ত থাকবে। সংসদের আইনে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর দায়িত্ব নির্ধারিত হবে যা প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। সরকারী অফিসারদের কাজ হবে সরকারী শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণ, সরকারী সেবা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন।

কিন্তু রাজনৈতিক কারণে বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে ঘন ঘন পরিবর্তন হয়ে থাকে। রাজনৈতিক আনুগত্য তৈরি করার লক্ষ্যে এবং দলীয় সদস্যদের বিভিন্ন পদে বসিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য সরকার এ ধরনের পরিবর্তনগুলো করে। উদ্যোগগুলি গঠনের আগে জনমত খুব কমই চাওয়া হয়। সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্থানীয় সরকারের উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে, যা মূল আইনী কাঠামোর বিরোধী। এ জাতীয় বিধান, স্থানীয় সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রচুর ক্ষমতা দান করে। ফলে বাংলাদেশের প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

বেলাল হোসেন: স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন সম্পর্কে আপনার অভিমত?

ড. তারিকুল ইসলাম: বাংলাদেশ যে রাজনৈতিক সমস্যায় ভুগছে তার মূল সংবিধানে নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রয়েছে। এটি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকরণ এবং বিকেন্দ্রীকরণের প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ২০১৫ সালের ১২ই অক্টোবর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। সরকার দাবি করেছে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল ভিত্তিক নির্বাচন প্রবর্তনের মাধ্যমে তা আরও অংশগ্রহণমূলক হবে। আদর্শগতভাবে, এটি স্থানীয় জনগণের জন্য তাদের স্থানীয় নেতাদের বাছাই করার পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার ব্যাপারে সচেতন থাকার একটি সুযোগ তৈরি করেছে।

বেলাল হোসেন: ঔপনিবেশিক শাসনামলের তুলনায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কতটুকু কার্যকরী ভূমিকা রাখছে?

ড. তারিকুল ইসলাম: বাংলাদেশে ১৯০ বছর ব্রিটিশ শাসনে উত্তরাধিকার সূত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ঔপনিবেশিক প্যাটার্ন এর প্রাপ্তি ঘটেছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছিল। স্বাধীনতার পরেও নানা শাসনের অধীনে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলিতে বিভিন্ন কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে। যেহেতু বিকেন্দ্রীকরণ বাস্তবতার চেয়ে আরও বেশি অলঙ্কৃত বক্তব্য, তাই এই জাতীয় উদ্যোগের পিছনে যে কেউ বিভিন্ন সরকারের বাস্তব উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতেই পারে।

দেশের শাসনের উচ্চ কেন্দ্রীভূত চরিত্রের কারণে স্থানীয় সরকারগুলোর যতটা ক্ষমতায়িত হবার কথা তা হতে পারেনা। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারের নেতারা তাদের কাজ সম্পাদনের জন্য পুরোপুরি ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। অর্থবহ বিকাশ, স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরাসরি ব্যক্তিদের জড়িত করার জন্য বাস্তববাদী একটি পদ্ধতি। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কার্যকর করতে এটি সময়ের দাবি।

বেলাল হোসেন: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে কী?

ড. তারিকুল ইসলাম: আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসনিক ব্যক্তিরা আমলাতান্ত্রিক। একই সাথে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই লোকেরা স্থানীয় সরকার এর বিভিন্ন কার্যক্রমে যথাযথভাবে অংশ নিতে পারে না। ফলে স্থানীয় সরকার প্রয়োজনীয় উপযুক্ত পরিষেবা জনগণকে সরবরাহ করতে পারে না। এছাড়া স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো আর্থিক সংকটে ভোগে। এদিকে বেশিরভাগ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের এই সংস্থাগুলোর অপারেশনাল পদ্ধতি এবং কার্যাদি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং বোধগম্যতাই নেই। ফলে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রত্যাশাটি এক্ষেত্রে প্যারাডক্সিক্যাল। ঔপনিবেশিক কাঠামো স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে একটি এলিট এবং বিজাতীয় প্রকৃতির শ্রেণিতে আবদ্ধ করেছে।

বেলাল হোসেন: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি কেন?

ড. তারিকুল ইসলাম: বাংলা ভাষায় রূপান্তরের নামে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পদের নাম পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সংগঠন। তাদের দাবি, প্রচলিত নাম পরিবর্তন করে যেসব নামের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দুর্বোধ্য। তাছাড়া এটা করতে হলে মূল আইনগুলো সংশোধনের প্রয়োজনসহ নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। বহুল প্রচলিত ইংরেজি শব্দের পরিভাষা বাংলায় আত্তীকরণে একটি ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে। এটি জনগণ সুন্দরভাবে গ্রহণ করার পাশাপাশি এতে অভ্যস্ত হয়েছেন। তবে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। আবার কেউ কেউ বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় নাম রাখার মত দিয়েছে।

বেলাল হোসেন: স্থানীয় জনগণ স্থানীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে কীভাবে জড়িত থাকতে পারে?

ড. তারিকুল ইসলাম: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯’ ওয়ার্ড সভার ধারণার বিধান তৈরি করেছিল। এটি ভোটার তালিকায় প্রবেশকারী সমস্ত ভোটারকে নিয়ে গঠিত। ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য সভার ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচিত মহিলা সদস্য উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি বছর কমপক্ষে দুটি ওয়ার্ডসভা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি ইউপি ‘নাগরিক সনদ’ প্রকাশ করবে। যার মাধ্যমে সমস্ত নাগরিক ইউপি থেকে পরিষেবা গ্রহণ করার অধিকার রাখে। গ্রাম্য বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াতে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এমপি, আমলা এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে।

বেলাল হোসেন: সংসদ সদস্যরা উপদেষ্টা হিসাবে স্থানীয় সরকারের কাজগুলিতে হস্তক্ষেপ করছেন কী?

ড. তারিকুল ইসলাম: ‘উপজেলা পরিষদ আইন-২০০৯’ অনুযায়ী সাংসদ তার নির্বাচনী এলাকার মঙ্গল সম্পর্কে যতক্ষণ নজর রাখেন ততক্ষণ স্থানীয় সরকার সংস্থার উপদেষ্টা হিসাবে এমপিদের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য। বাস্তবতা হচ্ছে সংসদ সদস্যদের ‘পরামর্শ’ একটি ‘কার্যনির্বাহী আদেশে’ পরিণত হয়। উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা বিকাশিত হবার পরিকল্পনা এবং সকল কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে সুযোগ করে দেয় এই নিয়ম।

বেলাল হোসেন: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আপনার মতামত।

ড. তারিকুল ইসলাম: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্থানীয় নতুন অংশীদারিত্ব সৃষ্টিতে সক্ষম করবে। এমডিজির প্রাথমিক বাস্তবায়নে মতো এসডিজির ক্ষেত্রেও একটি জটিল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তৃণমূলের পরামর্শ ও সহায়তার অভাব এবং স্থানীয় মানুষের মালিকানাবোধের অভাব। স্থানীয় সরকারে সুশাসন, প্রত্যাশার দাবি, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের কার্যকর কৌশল ও প্রয়োজনীয় ক্ষমতা থাকতে হবে। প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত সম্পদের সংস্থান প্রয়োজন।

বেলাল হোসেন: রাউটলেজে প্রকাশিত বই এ কী কী বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন?

ড. তারিকুল ইসলাম: সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতামূলক তথ্যের সাহায্যে বইটি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের সমস্যা আলোকপাত করেছে। কমিউনিটি পুলিশিং, বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থায়ী কমিটি, জেন্ডার সাম্যতা, খাদ্য সুরক্ষা, গ্রামীণ অঞ্চলে বিপর্যয় এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিশ্লেষণ করে। এটি বাংলাদেশের দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা, ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলি বাস্তবায়ন ও স্থানীয়করণের বিষয়ে বিতর্কগুলিও প্রকাশ করে। ইউনিয়ন পরিষদের মতো স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারী সংস্থাগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও প্রান্তিকের অংশীদারিত্বের স্তর এবং স্থানীয় সরকারের নীতি, পরিষেবাদি ও অংশীদারিত্বের উন্নয়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে।

বইটি রাজনৈতিক বিজ্ঞান, গণনীতি, জন প্রশাসন, উন্নয়ন গবেষণা, আঞ্চলিক উন্নয়ন, দক্ষিণ এশীয় গবেষণা এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞানের গবেষকদের জন্য কার্যকর হবে।

বেলাল হোসেন: গুরুত্বপূর্ণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ড. তারিকুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ