‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদে আমি বিব্রত’
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২১, ০৫:৫৮ PM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২১, ০৬:১৬ PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে নিজের নামে প্রকাশিত কিছু সংবাদে প্রচন্ড বিব্রত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক ও অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
বুধবার (২৩ জুন) ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুই ধরণের সংবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন ৷ অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘নিউজ গুলো হয়, এরা (সাংবাদিকরা) কম শুনে কিংবা ইনটেনশনালি পুরোটা (বক্তব্য) কোট করে না৷ ইচ্ছা মতো লেখে৷ আমিতো ওখানে লাইভ কথা বলেছি৷ রেকর্ডও আছে৷ তাঁরা একেক সময় একেক নিউজ করে৷ তাঁদের (সাংবাদিক) সাথে ইনফরমাল কথা বললে ওগুলোও নিউজ করে৷’’
মঙ্গলবার (২২ জুন) ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহসীন কবিরের বরাত দিয়ে ‘অনলাইন পরীক্ষার বিপক্ষে সাত কলেজ প্রশাসন’ শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম৷
এর কিছু সময় পরেই রাতে অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাত কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্যে দেন সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ৷ এরপর সমন্বয়কের সেই বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে অনলাইনে হবে সাত কলেজের পরীক্ষা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়৷ এতে সকালে গণমাধ্যমকে দেয়া সাত কলেজের কয়েকজন অধ্যক্ষের বক্তব্যের সাথে অমিল পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়৷ এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে অবস্থান নিলেও অনেকে আবার ইন্টারনেট সমস্যা ও ডিভাইস না থাকার কারনে এর বিপক্ষে অবস্থান নেয় ৷
এছাড়াও ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বিমুখ এমন বক্তব্য দেন সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ ৷ অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষার্থীরা আসলে ক্লাস বিমুখ৷ এটা আমরা স্বীকার করি আর নাই করি৷’’ এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ নিতে হলে পড়ালেখা করতে হবে উল্লেখ করেন তিনি৷
অধ্যক্ষের এই বক্তব্যকে ঘিরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাত কলেজের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে চাওর হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা৷ বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই অধ্যক্ষের এধরণের মন্তব্যকে নেতিবাচক ভাবে নিয়েছে৷