দ্রুত নিয়োগপ্রত্যাশীদের সুখবর দিতে চাই: চেয়ারম্যান
সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ উদ্দিন। এনটিআরসিএতে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের প্রথম দিনেই ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের স্টাফ রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যোগদানের প্রথম দিনেই ভাইভা নিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এটিকে কীভাবে দেখছেন?
মো. আশরাফ উদ্দিন: বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। আমি যোগদানের আগেই ১৬তম নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যেদিন প্রথম এনটিআরসিএতে আসি সেদিনও ভাইভা ছিল। তাই প্রার্থীদের ভাইভা নিয়েছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: অনেকদিন হয়ে গেল শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে না। এর সবশেষ অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে?
মো. আশরাফ উদ্দিন: বর্তমানে নিয়োগের উপর হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা চলছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলে আমরা দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চেষ্টা করবো। আদালতে আমরা একটি আর্জি দিয়েছি। সেটিও পেন্ডিং আছে। সব মিলিয়ে নিয়োগপ্রত্যাশীদের দ্রুত সুখবর দিতে পারবো বলে আশা করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: প্রায় প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রায় ৩ বছর সময় লেগে যায়। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেবেন কী?
মো. আশরাফ উদ্দিন: এনটিআরসিএর নিয়োগ কার্যক্রমের ধীরগতি সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমাকে অনেকেই অবহিত করেছেন। চেষ্টা করবো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে পুরো নিয়োগ কার্যক্রম যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় সেই ব্যবস্থা নেয়ার।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দীর্ঘদিন ধরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ায় অনেক বৈধ নিবন্ধিত প্রার্থীর বয়স শেষ হয়ে গেছে। সুপারিশের ক্ষেত্রে তাদের বয়স সংক্রান্ত কোনো শীথিলতা আনবেন কি?
মো. আশরাফ উদ্দিন: দেখুন আমরা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের সুপারিশ করতে পারি। বয়স সংক্রান্ত বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের বিষয়। এটি নিয়ে এনটিআরসিএর কিছু করার নেই।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মো. আশরাফ উদ্দিন: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেও ধন্যবাদ।