সমৃদ্ধ অর্থনীতি আর টেকসই উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার
নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার  © টিডিসি ফটো

বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং টেকসই উন্নয়নে অধিক উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ২০১১ সাল থেকে ২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ হিসেবে উৎযাপন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বছরের ন্যায় আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) সারাদেশে পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২০’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা’।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে জাতীয় অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতার পরিধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২০ উপলক্ষে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ, কর্মকান্ড এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানান বিষয়ে অদ্যোপান্ত জানান এনপিও এর পরিচালক এবং সরকারের যুগ্মসচিব নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। দীর্ঘ আলাপচারিতার চম্বুক অংশ তুলে ধরেছেন প্রতিবেদক— মোঃ রাকিবুল হাসান তামিম

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি আনয়নে উৎপাদনশীলতার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: আমাদের বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক নানান সূচকে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় উন্নীত হবার মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথে এগুচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম উদীয়মান শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব পরিমন্ডলে পরিচিত মুখ। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিকরণসহ দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাতে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব অপরিহার্য। একটা সময় ছিলো যখন দেশ শুধুই কৃষি নির্ভর দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিলো। কিন্তু দেশের স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় কৃষির পাশাপাশি শিল্প নির্ভর অর্থনীতিতে জোর দেওয়ার ফলে এটি শক্তিশালী করেছে দেশের প্রবৃদ্ধিকে। দ্রুত গতিতে দেশের উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে উৎপাদনশীলতার পরিধি এবং ক্ষেত্র দুটোই বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এনপিও’র রূপকল্প নির্ধারণ করেছি —“উৎপাদনশীলতার উৎকর্ষ সাধনে এপিওভূক্ত উন্নত দেশসমূহের সমমানে পৌঁছানো।”

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এক্ষেত্রে ‘এনপিও’ কি অভিলক্ষ্য এবং কৌশলগত অবস্থান বা উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: এনপিও দেশের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট অভিলক্ষ্য এবং কৌশলগত উদ্দেশ্য ও বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আামাদের অভিলক্ষ্য হচ্ছে — ‘উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, গবেষণা, কারিগরী সহায়তা ও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রব্য/সেবার উৎপাদন বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি ও পদ্ধতির উন্নয়ন।’ আবার আমাদের বেশ কিছু কৌশলগত উদ্দেশ্যও রয়েছে। কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ সম্ভাবনা তৈরিতে অগাধ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করছি।

উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে —

১। দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
২। শিল্প উন্নয়নে স্বীকৃতি ও সহায়তা প্রদান।
৩। উৎপাদনশীলতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।
৪। উৎপাদনশীলতা বিষয়ে গবেষণা জোরদারকরণ।
৫। উৎপাদনশীলতা বিষয়ক নীতি নির্ধারন ও উন্নয়ন।

আবার কাজের যথাযথ বাস্তবায়নে আমরা ৩টি আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যও সাথে রেখেছি। সেগুলো হচ্ছে —

১। কর্মসম্পাদনে গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি।
২। দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ।
৩। আর্থিক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: টেকসই উন্নয়নে উৎপাদনশীলতার পরিধি বৃদ্ধি করতে কি ধরনের কার্যাবলী আপনারা গ্রহণ করেছেন?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত ৬টি কার্যাবলিকেই বাস্তবায়নে জোর দিয়ে থাকি। সেগুলো হচ্ছে— উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাযথ কলাকৌশল উদ্ভাবন ও নীতিমালা প্রণয়নে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করা, জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নিয়মিতভাবে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করা, শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতার গতিধারা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে পরামর্শ সেবা ও কনসালটেন্সির মাধ্যমে প্রভাবক বা ক্যাটালিস্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করা, উৎপাদনশীলতা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ, সংকলন এবং বিশ্লেষণসহ প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক বিভিন্ন মহলে বিতরণ করার লক্ষ্যে তথ্য ভান্ডার গঠন করা, বাংলাদেশে এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এর বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে সমন্বয় সাধন এবং দেশব্যাপী উৎপাদনশীলতা দিবস পালন, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স এওয়ার্ড প্রদান ও সেমিনার আয়োজন করা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: টেকসই উন্নয়নে কি ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির হার বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে ইতোমধ্যেই এনপিও এবং এপিও এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদনশীলতা, গুণগত মান, প্রতিযোগীতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবনের রূপরেখা তৈরিতে উৎসাহিত করতে “Bangladesh National Productivity Master Plan (NMP) FY 2021-2030” বিষয়ক একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশের যে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ বর্তমানে রয়েছে এদের উৎপাদনশীলতার পরিমাণ হচ্ছে ৩.৮ শতাংশ। আমরা চাচ্ছি এই মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী ২০২১ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক গড় উৎপাদনশীলতা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়াতে। শুধুু মাত্র শিল্প ক্ষেত্রেই নয় একই সাথে কৃষি খাতে গড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, সেবা খাতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে উৎপাদনশীলতা বাড়াতেও আমাদের এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মহামারি করোনা সংক্রমণে এসব ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: করোনার সংকট শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় বরং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে করোনার অজুহাতে আমরা থেমে থাকতে নারাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় আমরা কিন্তু করোনার স্থবিরতা জীর্ণতা কাটিয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক করেছি। তাই আমি মনে করিনা এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে করোনা বড় ধরণের কোন প্রভাব ফেলবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং সামনেও এটি অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবো।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উৎপাদনশীলতার পরিধি বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকাংশে বাস্তবতা হলো দেশের অনেক মানুষই জাতীয় ক্ষেত্রে এই ‘উৎপাদনশীলতা’র বিষয় সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু জানেনা। এক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যক্রমে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব বা সরকারের পরিকল্পনা যুক্ত করার কোন চিন্তা আপনারা করছেন কিনা?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: খুবই ভালো প্রশ্ন এটি। সরকার জাতীয় উন্নয়নে টেকসই উৎপাদনশীলতার উপর খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে এটি যেমন সত্য তেমনি দেশের অনেক মানুষ বা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানেনা। তাই আমরা প্রাথমিক অবস্থায় কারিগরি শিক্ষার পাঠ্যক্রমে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক পাঠ যুক্ত করছি। আর খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়িত হবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও উৎপাদনশীলতা বিষয়ক পাঠ যুক্ত করার জন্য আমারা সুপারিশ করেছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি চিন্তাভাবনা করবেন। এর পাশাপাশি এনপিওর ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে স্বল্পমেয়াদী বিভিন্ন কোর্স চালু রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি একটি প্রজেক্টের আওতায় স্বল্পমেয়াদী এসকল কোর্সকে একবছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে উন্নীত করার। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে উৎপাদনশীলতার উপর দক্ষ জনবল বাড়াবে বলে আমরা আশাবাদী।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: উৎপাদনশীলতার উপর কোন আইন বা কাঠামো প্রণয়নের কথা ভাবছেন কি?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: দেখুন উৎপাদনশীলতা কার্যক্রমকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে এবং এর গতি বৃদ্ধি করতে আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। আমরা এটা চিন্তাভাবনা করে দেখছি। তবে আপাততঃ মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্প, সেবা ও কৃষি সেক্টরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির চিন্তাটাই আমরা করছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দেশে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা বা ঘাটতি হিসেবে কোন বিষয়টি আপনাদের সামনে আসছে?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: দেখুন এক্ষেত্রে আমি বলবো, আমরা যখন উৎপাদনশীলতায় উন্নত দেশের দিকে তাকাচ্ছি তখন তাদের তুলনায় আমাদের অটোমেশনের ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির প্রয়োগে এখনো আমরা যেতে পারিনি। এটি উৎপাদনশীলতায় একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। কারণ যেখানে উন্নত দেশ অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক কিছু উৎপাদন করতে পারবে সেখানে যদি আমরা এনালগ পদ্ধতি ব্যবহার করি তবে স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদনশীলতায় পিছিয়ে পড়বো। তাই আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যেন সবকিছুই অটোমেশন এর আওতায় আনতে পারি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এনপিও কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আপনি মনে করছেন?

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। দেখুন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে সেই দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উপর। কেননা উৎপাদনশীলতার সাথে জড়িয়ে আছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান, রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানের কার্যাবলীর গুণগত মানসহ নানান বিষয়াদি। এই সবকিছুর উন্নয়নে প্রয়োজন উৎপাদনশীলতা অথ্যাৎ আগের অবস্থা থেকে উন্নত অবস্থায় রূপান্তর। আমরা তীব্রভাবে বিশ্বাস করি, এনপিও দেশের সার্বিক উন্নয়নে অগাধ ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে আমাদের সম্মিলিত চেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।

নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেও অনেক ধন্যবাদ। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।


সর্বশেষ সংবাদ