এ যুগে শুধু নিজের নাম লিখতে পারাটাই সাক্ষরতা নয়
আজ ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’। ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ এই স্লোগান সামনে রেখে ৮ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর। ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সমাজে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরাই হলো এই দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য। ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো দিবসটি প্রথম উৎযাপন করে। তবে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হয় ১৯৭২ সাল থেকে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’র এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘কভিড-১৯ সংকট: সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা।’
শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত করে নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে করণীয় এবং কভিড-১৯ সংকটে সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল ও শিক্ষাবিদদের ভূমিকা নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোঃ রাকিবুল হাসান তামিম।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সাক্ষরতা বলতে আমরা কি বুঝব?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: একসময় ব্যাক্তি নিজের নাম লিখতে পারলে অথবা সাক্ষর করতে পারলেই তাকে সাক্ষরতা বলে হতো। কিন্তু ১৯৪০ সালের দিকে লেখা এবং পড়া দুই দক্ষতাকে স্বাক্ষরতা সংজ্ঞা চিহ্নিত করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে প্রতি দশকে এই সংজ্ঞার রূপ পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমান এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে শুধু নিজের নাম লিখতে পারাটাই যথেষ্ট বলে মনে করছি না। বরং নাম পরিচয় লখার পাশাপাশি নিজেকে সাক্ষর হিসেবে প্রকাশ করতে কমপক্ষে তিনটি তিনটি শর্ত মানা জরুরি। ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে, সহজ ও ছোটবাক্য লিখতে পারবে, দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ হিসেবনিকেশ করতে পারবে।
সারাবিশ্বে বর্তমানে এই সংজ্ঞাকে ভিত্তি করে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হিসেবনিকেশ করা হয়। তবে বর্তমানে এটিও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যেখানে স্বাক্ষরতা সরাসরি ব্যক্তির জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সম্পর্কিত হবে। যিনি কেবল বর্ণমালার সাথে পরিচিত হয়ে দৈনন্দিন কার্যাবলী সাড়ার জন্য বাজারের তালিকা তৈরি করা, রাস্তার সাইনবোর্ড, বাসার ঠিকানা, চিঠিপত্র পড়া, টেলিফোন-মোবাইল করতে পারা, মোবাইল নাম্বার তুলতে পারা, নাম্বার সংরক্ষন করতে পারা বুঝায়। সর্বোপরি নিজের নাম সাক্ষর-দস্তখত করতে পারবে এমন জ্ঞানসম্পন্নদের ও সমাজে সাক্ষর বলা হয়ে থাকে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সাক্ষরতার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু বলে আপনি মনে করছেন?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: দেখুন বর্তমান এই সময়টা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের যুগ। পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবাধ ধারা অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে পুরো বিশ্বকে এখন বিশগ্রাম বলা হচ্ছে। এমন অবস্থায় দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে স্বশিক্ষিত হবার কোন বিকল্প নেই। উন্নত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ তৈরিতে এবং জাতির উন্নয়নে মূল ভূমিকা পালন করে শিক্ষা। তাইতো বলা হয় জাতির উন্নতি এবং প্রগতির অন্যতম বাহন হচ্ছে শিক্ষা।
সরকারি হিসেবে এখন বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থ্যাৎ এখনো প্রায় ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ শিক্ষার বাইরে। অথচ বাংলাদেশেকে উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে নিতে শিক্ষিত এবং দক্ষ জনগোষ্ঠীর বিকল্প অন্য কিছু নেই। আর আমরা জানি, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। নাগরিক মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার সঙ্গে শিক্ষা কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সেই জাতি তত বেশি সভ্য ও উন্নত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেই এর সঠিক জবাব ও প্রমাণ আমরা পেয়ে যাব। সুতরাং একথা সহজেই বলা যায় যে, দেশের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির গতিপথ বেগবান করতে অবশ্যই এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ চলাকালীন এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদের দেশের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে চলমান প্রক্রিয়া কি বাধাগ্রস্ত হবে?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: কভিড-১৯ এটি বৈশ্বিক সমস্যা। পুরো বিশ্বই এই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তবে আমাদের দেশের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এখন পর্যন্ত বলা যায় যে, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির চলমান প্রক্রিয়াসমূহ তেমন একটা বাধাগ্রস্ত হবে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যদি আরো দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয় তবে এটি চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা আছে তাদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যেন সংকট কাটিয়ে উঠতে পারা যায়।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল অবস্থায় শিখন ও শেখানোর কৌশল কেমন হতে পারে?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: এতদিন দেশে জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতার আওতায় আনতে কার্যক্রম যতটা সহজসাধ্য ছিলো হয়তো করোনাকালীন সংকটময় মুহূর্ত কেটে যাবার পর এতটা সহজ নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত অবস্থায় আমাদের কার্যক্রম পূর্বের চেয়ে আরো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। কেননা করোনার প্রভাব কেটে যাবার পর যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়স্ক স্কুল, সান্ধ্যকালীন খুলে দেওয়া হবে তখন অনেককেই আর স্কুলে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে প্রাক প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আশংকা প্রবল।
এমনিতে স্বাভাবিক অবস্থার সমীক্ষাই বলছে, দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুই স্কুলে ভর্তি হচ্ছে কিন্তু পরবর্তী সময়ে এর অধিকাংশই ঝরে পড়ছে৷ এই দিকটা ভালোভাবে নজর দিতে হবে। আর পরিবর্তিত অবস্থায় শিখন-শেখানোর কৌশলও পরিবর্তন করতে হবে। পূর্বের চেয়ে আরো চমকপ্রদ পাঠ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের খুঁজে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী করতে হবে এবং পাঠ্যধারার মাধ্যমে শিক্ষার গুরুত্ব, সাক্ষরতার গুরুত্ব উপলব্ধি করাতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এক্ষেত্রে শিক্ষক বা শিক্ষাবিদদের ভূমিকা কি হতে পারে?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: আমি মনে করি এক্ষেত্রে শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকায় সবচেয়ে বড় হওয়া দরকার। একটি কথা না বললেই নয় যে আগে সরকারের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে শিক্ষার প্রচার প্রসারসহ নানাবিধ পলিসি ম্যাকিং এর সাথে শিক্ষকরা জড়িত ছিলো। শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদরা বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি সংকুচিত হয়ে আসছে।
অথচ বাস্তবিক অর্থে শিক্ষার কার্যক্রম প্রসারে এবং জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতার আওতায় আনতে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের ভূমিকা, তাঁর চিন্তাধারা বা তার পরামর্শ একজন সাধারন মানুষের থেকে ভিন্ন। কারণ একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক তাঁর অর্জিত দক্ষতায় শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা এবং চাওয়া পাওয়া সহজেই অনুমান করতে পারেন। তাই আমি মনে করি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর সমূহে শিক্ষাবিদদের এবং শিক্ষকদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ এবং সহায়তা তো অব্যাহত আছেই।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এখনো শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতার আওতায় আনতে না পারার পেছনে কি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: দেখুন শিক্ষা হল জ্ঞানের আলো। এ আলো ছাড়া কোনো আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয় না। তাই দেশের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে নিরক্ষরতা দূর করে স্বাক্ষরতার ব্যাপারটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়াটাই আমাদের জন্য প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শতভাগ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আওতায় আনতে না পারাটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। যদিও দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে নানান সময়ে বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।
আমি বলবো না দায়িত্বশীল প্রশাসন বা সরকার একদমই চেষ্টা করেনি। সরকারের চেষ্টা অবশ্যই ছিল এবং এখনো চলমান রয়েছে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ শিক্ষার প্রচার এবং প্রসারে অনেক আন্তরিক ভূমিকা পালন করছেন। তবে আমার কাছে মনে হয় যারা মাঠ পর্যায়ে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করছেন তাদের আরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। কেননা এখনো দেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী সাক্ষরতার আওতায় আসেনি। কেন আসেনি তা খুঁজে বের করে সমস্যার সমাধান করা দরকার।
এক্ষেত্রে সামাজিক অনেক প্রতিবন্ধকতা যেমন— অভিভাবকদের অসচেতনতা, বাল্য বিবাহ, কিশোর অপরাধ, দারিদ্রতা, নিজেদের আন্তরিক ইচ্ছার অভাব সহ নানাবিধ কারণ লক্ষণীয়। তবে এগুলোর সমাধানে সবাই আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করলে খুব দ্রুতই উত্তরণ সম্ভব হবে বলে আমি মনে করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সহসাই শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কি খুবই কঠিন?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: সরকারি হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থ্যাৎ এখনো প্রায় ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ শিক্ষার বাইরে। অথচ বাংলাদেশেকে উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে নিতে শিক্ষিত এবং দক্ষ জনগোষ্ঠীর বিকল্প অন্য কিছু নেই। দক্ষ এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছুটা কঠিন হলেও সরকারের একনিষ্ঠ অনুধ্যান এবং নিরলস প্রচেষ্টায় ঘুছিয়ে উঠা শুরু করলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে প্রতিনিয়ত। তার উপর এবছর যুক্ত হয়েছে মহামারী পরিস্থিতি। তবে ঘুরে দাড়ানো আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে না। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা আরো বেগবান করলে খুব দ্রুতই শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: স্যার আমরা একেবারে শেষের দিকে চলে এসেছি। সর্বশেষ আপনার কাছে জানতে চাইবো আজকের এই দিনে আপনার প্রত্যাশা কি?
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: স্বাধীন বাংলাদেশে আমার বড় একটি প্রত্যাশা হলো খুব দ্রুত বাংলাদেশের গোটা জনসংখ্যা শিক্ষিত হয়ে উঠবে। কেননা উন্নত বিশ্বে আমাদেরও উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যেতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন নিরক্ষরতা মুক্ত জনগোষ্ঠী। আমরা যদি আমাদের বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতে পরিনত করতে পারি তবেই আমাদের দেশ উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
আর সাক্ষরতার পরিবর্তিত সংজ্ঞা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান কোথায় সেটি পরিমাপ করতে হবে, শুধুমাত্র সংখ্যার বৃদ্ধিতে উন্নীত করে তৃপ্তি পাবার অবকাশ নেই। তাছাড়া দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষাও হলো অন্যতম অধিকার। শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হলো দেশ ও দশের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন। সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে দক্ষ জীবন গড়ার পথচলা। এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ধন্যবাদ স্যার। আমরাও প্রত্যাশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত হবে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আপনার মূল্যবান সময় আমাদেরকে প্রদান করার জন্য ।
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার: আপনাকে ধন্যবাদ। ডেইলি ক্যাম্পাস পরিবারের জন্য শুভ কামনা। দেশ ও দশের কল্যাণে আপনাদের পথ চলা সুন্দর, সমৃদ্ধ এবং বস্তুনিষ্ট হোক।