বিসিএসে সবচেয়ে কঠিন প্রিলি, সহজ লিখিত এবং ভাইভা ভাগ্যনির্ভর
ড. এমরান হুসাইন। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিও করেন। একাডেমিক, গবেষণাধর্মী বই লেখার পাশাপাশি বিসিএসসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। করোনা-কালে চাকরিপ্রার্থীদের পড়াশুনার প্রস্তুতিসহ নানান বিষয়ে নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর সঙ্গে কথা বলেছেন ড. এমরান হুসাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবদুর রহমান-
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনা সংকটের পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?
ড. এমরান হুসাইন: এখন সারা পৃথিবী নিস্তব্ধ হয়ে আছে! আমি মনে করি, করোনা নামক ভাইরাসটি পৃথিবী থেকে ধ্বংস হবে না! তাই চাকরিপ্রত্যাশীদের সময় নষ্ট না করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ করোনার এই পরিস্থিতির কারণে সারাক্ষণ বাসায় থাকতে হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার এটা বড় সুযোগ। প্রস্তুতিকে আরও কার্যকর করতে পড়ালেখার জন্য একটা রুটিন বা পাঠ পরিকল্পনা করা যেতে পারে। পড়ালেখার জন্য প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। সেখানে বাংলা গণিত এবং ইংরেজির জন্য চার ঘণ্টা। বাকি সময় সাধারণ জ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য রাখতে পারলে ভালো হয়। কেননা চাকরির পরীক্ষায় বাংলা গণিত এবং ইংরেজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি বিষয়ই অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করে দেয়। ভোরবেলাই পড়াশোনা করার উপযুক্ত সময়। কেননা এই সময়ে পরিবেশটা নির্মল, শান্ত থাকে। তাই চাকরিপ্রত্যাশীরা চাইলে এই সময়ে পড়ালেখা করতে পারে। তখন সহজেই মনে থাকবে। যেনো পরিস্থতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনার প্রাদুর্ভাব দীর্ঘ হচ্ছে। এই সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না এবং চাকরিপ্রত্যাশীরাও পরীক্ষা দিতে পারছে না। এই মুহুূর্তে তাদের এবং সরকারের করণীয় কী?
ড. এমরান হুসাইন: এই ক্ষেত্রে আমি চাকরিপ্রত্যাশীরা পরামর্শ দিব, তারা যেন তাদের পড়াশুনা চালিয়ে যায়। একইসঙ্গে তারা যেন ডিসটেন্স লার্নি তথা অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের মেধা যাচাই করে। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, মানসিক দক্ষতা ও কম্পিউটারের প্রস্তুতির জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইটে যেমন প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তেমনি পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাইয়ের সুযোগও রয়েছে। পরীক্ষা দেওয়ার পর ব্যাখ্যাসহ উত্তরপত্র দেখা যায়। ফলে ভুলগুলো সহজে শুধরে নেওয়া যায়। পরীক্ষার পর কতগুলো প্রশ্ন সঠিক হয়েছে, কতগুলো ভুল হয়েছে; ভুল প্রশ্নের উত্তর কী হবে—সেসব জানা যাবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর, প্রস্তুতিমূলক পরামর্শও পাওয়া যাবে। তাই এই সুযোগটা তারা কাজে লাগাবে।
আর শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। কিন্তু তার আগে অনলাইনে ক্লাসের প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করতে হবে। যেমন- শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলে তারা ক্নাস করতে আগ্রহী হবে। বাহিরের দেশগুলোতে ও শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সেবা ফ্রি রয়েছে। আমি নিজেও পিএইচডি ডিগ্রি চলাকালীন সময়ে ফ্রি ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করেছি। শিক্ষার্থীরা যেন সহজভাবে অনলাইন ক্লাস করতে পারে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দিষ্ট একটি সফটওয়্যারের আওতায় আনতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মান ও বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ আমরা যে পরিমাণ টাকা দিচ্ছি সেই পরিমাণ সেবা কিন্তু পাচ্ছি না! এই গুলোর প্রতি সরকারকে নজর দিতে হবে। তাহলে অনলাইনে আমরা সুষ্ঠ প্রক্রিয়ায় ক্লাস করতে পারবো। আর এইগুলো এইজন্য করতে হবে কারণ সামনে কোভিড-১৯ এর মত এই রকম আরও অনেক মহামারী হতে পারে তাই শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশোনার কোন ক্ষতি না হয় সেই চিন্তা করে আমাদের টেকনোলজির মান বৃদ্ধি করতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চাকরির বাজারে যাদের টার্গেট বিসিএস কিংবা সমমানের প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার, তারা নিজেদের প্রস্তুতির জন্য এ প্রতিযোগিতায় টিকে উঠতে কখন থেকে পড়াশুনা শুরু করা উচিত?
ড. এমরান হুসাইন: বাংলাদেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। চাকরির প্রার্থীর তুলনায় চাকরির আসন সংখ্যা খুবই কম। ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে-survival of the fittest (যোগ্যতমের বেচেঁ থাকা)। অর্থ্যাৎ এইখানে যোগ্যরাই বেঁচে থাকবে আর অযোগ্যরা বাদ পড়বে। এখন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তাদের মূল লক্ষই হলো জীবিকার তাগিদে পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটি চাকরি পাওয়া। যেহেতু চাকরির প্রার্থী অনুযায়ী আসন সীমিত তাই তাকে প্রস্তুতিটা নিতে হবে ব্যাপক মাত্রায়। কারণ এইখানে সবাই চাই চাকরি করতে। তাই টিকে থাকতে হলে অব্যশই কঠোর প্ররিশ্রমী হতে হবে এবং নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে পড়াশুনা করতে হবে।
আর এই ক্ষেত্রে যদি এই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি চাকরির জন্য বাংলা, অংক, ইংরেজী এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে হবে? এই জন্য যে উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়ভিত্তিক চাকরি রয়েছে কিন্ত আমাদের দেশে চাকরির আসন কম। তাই দেখা যায় সকল বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সকল চাকরিতে প্রতিযোগিতা করে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কোচিংয়ে ভর্তি না হয়ে কিংবা প্রস্তুতি সহায়ক বইগুলো পড়া ব্যাতীত চাকরি পাওয়ার সুযোগ কতটুকু?
ড. এমরান হুসাইন: কোচিং সেন্টার কোন শিক্ষার্থীকে চাকরি দিতে পারবে না; যদি তার মাঝে সিরিয়াসনেস না থাকে। তাই আগে আমাদের শিক্ষার্থীদের সিরিয়াসনেস হতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি কিন্তু কোচিংকে ইগনোর করছি না! কারণ দেখা যায়, কোচিং করলে একটা শিক্ষার্থীর মাঝে ডিসিপ্লেন তৈরী হয়। কারণ সেখানে টাইম টু টাইম পরীক্ষা দিতে হয়, লেকচার শুনতে হয়। তাই কোচিং কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে। তবে চাকরি পেতে হলে অব্যশই সিরিয়াসনেস হতে হবে।
আরেকটি বিষয় চাকুরির যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সহায়ক বই এর কোন বিকল্প নেই। বাজারে শত শত বই। জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন দিয়ে কথা, কোথায় থেকে কিভাবে অর্জিত হল সেটা বড় কথা নয়। বই বড় কথা না, কথা হল আপনার মাঝে সিরিয়াসনেস কেমন। আর অর্জিত জ্ঞানটাই আসল। অনেকেই বারবার জিজ্ঞেস করছেন কি বই পড়বেন, কোন বই ভালো, কোন বই থেকে বেশি কমন পড়ে? আসলে বই কোন বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছেন আপনি। সবকিছু নির্ভর করবে আপনার ওপর। আর হে আপনার মাঝে যদি সিরিয়াসনেস থাকে তাহলে একটি ভালো মানের বই অনুসরণ করলেই হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক সহায়ক বই রয়েছে। আর আমরা জানি আপনি নিজেও এরকম বই লিখেন। এজন্য আপনার লেখা বই কেন চাকরিপ্রত্যাশীরা বেছে নেবেন?
ড. এমরান হুসাইন: আমার বইগুলোর আলাদা কনসেপ্ট আছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গুছিয়ে দেওয়া আছে। তাছাড়া আমার বইগুলো অন্য সবার বইগুলো থেকে আলাদা। ভিন্ন কিছু শিখতে পারবে আমার বইগুলোতে আমি আশা করছি। এছাড়াও যেসব টপিকে শিক্ষার্থীরা দুর্বল সেসব জায়গাগুলোকে ভিন্ন মাত্রায় এবং সহজলভ্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি অল্প সময়ের মধ্যে ভালো প্রস্তুতি নিতে চায় তাহলে আমার বইগুলো তাদের জন্য সহায়ক হবে। আর আমার বইগুলোতে মুখবন্ধ লিখেছেন বাংলাদেশের সুনামধন্য এবং সুপ্রতিষ্ঠিত মন্ত্রী-এমপিসহ ১০ বিজ্ঞজন। এছাড়াও ২১ জন মনীষী বইগুলোর উপর মন্তব্য লিখেছেন যারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সুনামধন্য।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিসিএস প্রস্তুতিতে প্রিলিমিনারী, রিটেন এবং ভাইভা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিবেন।
ড. এমরান হুসাইন: আমি মনে করি বিসিএস এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে প্রিলিমিনারী পরীক্ষা ও সবচেয়ে সহজ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা হচ্ছে অনেকটা ভাগ্য এবং আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। বিসিএসপ্রত্যাশীরা প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির জন্য যতটুকু সময় পায় রিটেনের জন্য তার ১/৩ ভাগও পায় না। অথচ, ক্যাডার পাবার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটা সুপার-ডুপার রিটেন পরীক্ষা দেওয়া এবং খুবই ভাল মার্কস অর্জন করা। সুতরাং প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিটা এমনভাবে নিতে হবে যাতে করে রিটেনের প্রস্তুতিটা ও এগিয়ে থাকে। আমি মনে করি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় যদি আপনি তথ্যগুলো ভালভাবে মনে রাখতে পারার মত করে পড়েন, মানে আপনি এমন ভাবে পড়বেন যেটাকে বলে “টুটস্ত” (প্রশ্ন করা মাত্রই অপশন না খুঁজে ছট করে উত্তর দিতে পারার মত করে বুঝে মুখস্ত করা) তাহলে রিটেন এর ৭০% প্রস্তুতি আপনার প্রিলিমিনারির সময় এ হয়ে যাবে। আর আপনি শুধু রিটেন এর সময় এই তথ্যগুলো কে আপনার মত করে সাজিয়ে লিখবেন। একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী তথ্যে সমৃদ্ধ থাকলে সে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আর এইটা পারা উচিত। সুতরাং নিজেকে তথ্যে সমৃদ্ধ করেন।
আর ভাইভাতে যে প্রশ্ন করা হয় সাধারণত তা কমন পড়ে না! তারপরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন ভাইভাতে সাধারণত প্রায়ই করা হয়ে থাকে। যেমন- ‘আপনার সম্পর্কে বলুন’, ‘আপনি কেন এ পদে কাজ করতে চান’, ‘আপনাকে কেন যোগ্য মনে করেন’, ‘আপনাকে কেন আমরা নেবো’, ‘আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো বলুন’- এমন টাইপের কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ভালো। এতে এসব প্রশ্ন করা মাত্রই আপনি চিন্তা ছাড়াই গুছিয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। সেইসাথে আপনি যে পদে আবেদন করেছেন, সে বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় পড়াশোনা করে যাওয়া ভালো। অর্থাৎ আপনি যে কাজ করতে চাচ্ছেন, তাতে আপনার যে যোগ্যতা-দক্ষতা রয়েছে বা প্রয়োজন তা কতটুকু পূরণ করতে আপনি সক্ষম, তাও আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে।ভুল-ত্রুটির বাইরে গিয়ে নিজেকে উপস্থাপন আপনার যদি কোন মুদ্রাদোষ থাকে যেটা দৃষ্টিকটু বা কোনো ধরনের দুর্বলতা, যেটি আপনার চাকরি প্রাপ্তিতে বাধা বা নিজেকে ছোটভাবে উপস্থাপন করবে, সেটি যেন ইন্টারভিউ বোর্ডে চলে না আসে, তা খেয়াল করুন। এজন্য দ্রুতই নিজের খারাপ দিকগুলো চিহ্নিত করে তা পরিত্যাগ করতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনার এই সংকটে যাদের চাকরির বয়স শেষের দিকে, তাদের জন্য সরকারের কি করা উচিত?
ড. এমরান হুসাইন: দেখুন আমাদের দেশে চাকরির বয়স ৩০ বছর করা হয়েছে। সংকটকালীন এ সময়ে যাদের চাকরির বয়স শেষ তাদের জন্য সরকারের উচিত ৩২ বছর করা। কারণ আমার দেশের শিক্ষার্থীদের অনার্স-মার্স্টাস শেষ করতে ২৬ থেকে ২৭ বছর লাগে। চাকরির প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীরা এমনিতেই খুব কম সময় পায়। এখন যদি বিষয়টি সরকার বিবেচনা না করে তাহলে তাদের জীবন তো ধ্বংস। তাই তাদের কথা চিন্তা করে চাকরির বয়স বাড়ানো দরকার।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. এমরান হুসাইন: দেশের অন্যতম শিক্ষা, তারুণ্য, চাকরি, ক্যাম্পাসভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জন্য শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।