পাঠ্যবইয়ের বাইরে সফট স্কিল, সোশ্যাল স্কিল ও ইমোশনাল স্কিলও জরুরি
ডাঃ দীপু মনি। বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার কামরাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রথম কাউন্সিল-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াদুদের দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা দীপু মনি। তাঁর মা শিক্ষিকা রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর।
ডাঃ দীপু মনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও লন্ডন ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ পান।
করোনা-কালের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে শনিবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিয়মিত আয়োজন ‘ক্যাম্পাস টক’ ফেসবুক লাইভে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। লাইভ সঞ্চালনায় ছিলেন স্টাফ রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শুভেচ্ছা নেবেন। কেমন আছেন?
ডাঃ দীপু মনি: আপনাকেও শুভেচ্ছা। করোনাকালে বেঁচে থাকাই বড় সুখবর। ভালো আছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিপুল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার সিংহভাগ তরুণ। এই বিপুল তারুণ্যকে বিশ্বনাগরিক বা বিশ্বমানের মানবসম্পদে পরিণত করতে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা কতটকু ভূমিকা পালন করছে? এই ব্যবস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তন করা হচ্ছে বা হবে?
ডাঃ দীপু মনি: আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে ঠিকে থাকার জন্য তাদের দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান সরকার সব সময় শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা যতটুকু সম্ভব শিক্ষার বাজেট বাড়াতে চেষ্টা করেছি। দেশের উন্নয়ন খাতে যেভাবে আমরা বিনিয়োগ করেছি, সেভাবে আমাদের শিক্ষাখাতেও বিনিয়োগ করছি। আমাদের আরও বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু এখন যেটুকু সম্ভব সেটুকু আমরা করছি। তবে আমাদের বিনিয়োগের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ চলছে। এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আসছে। সেখানে রোবোটিক্স, আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স-এর ব্যবহার বাড়ছে। এখন আমাদের সমাজ এইগুলো নির্ভর হয়ে যাবে। তাই শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং দক্ষ মানবশক্তিতে পরিণত করতে হবে।
সেজন্য আমরা অনেক বেশি জোর দিচ্ছি কারিগরি শিক্ষার উপর। যেখানে দশ-এগার বছর আগে ১ ভাগেরও কম শিক্ষার্থী ভর্তি হতো। সেখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যার সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক কাজের ফলে এই ক্ষেত্রে এখন শিক্ষার্থী ভর্তির হার ১৭ ভাগে নিয়ে যেতে পেরেছি। এটি আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত পক্ষে ৩০ ভাগে নিয়ে যেতে চাই।
আমরা কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষার মানকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে চাই। সেজন্য শিক্ষার কারিকুলামকে ঢেলে সাজাচ্ছি। শিক্ষকদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এইভাবে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব মানের করে তুলছি।
এছাড়া শুধু কারিগরি জ্ঞান ও বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা নয়, আরও কিছু দক্ষতাও আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন। যেগুলোকে সফট স্কিল, স্যোশাল স্কিল ও ইমোশনাল স্কিল বলা হয়। সঠিকভাবে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কমিউনিকেশন স্কিল এবং সমস্যা সমাধানের জন্য প্রবলেম সলভ স্কিল শিখতে হবে। এছাড়া অ্যানালাইটিকেল্স স্কিল আছে কিনা দেখতে হবে।
তারপরও এগুলোর সঙ্গে যদি সততা, দেশপ্রেম, সময়ানুবর্তিতা ও ন্যায়বোধ শিক্ষার্থীদের জীবনের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারি, তাহলে জিপিএ ফাইভ পাবে, সব পরীক্ষায় পাস করে যাবে; কিন্তু সত্যিকারে মানুষ তথা সুনাগরিক আমরা পাব না। আমাদের মাঝে যেমন জ্ঞান থাকবে, দক্ষতা থাকবে; ঠিক একই সময়ে যেন মনোভাবটিও ইতিবাচক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সুতরাং জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে সু-নাগরিক ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কৌশলে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, কাজ করছি। শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্য সার্বিক মনোনিবেশ করেছি। আমরা সফল হব। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়েই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে পারব। এটির মাধ্যমেই আমারা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অর্জন করতে পারব।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো শুরু হয়নি ভর্তি কার্যক্রম। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়?
ডাঃ দীপু মনি: এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হবে। তাদের ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হবে। কাজেই এই কার্যক্রম চালু করতে সমস্যা তো নেই। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু বন্ধ রয়েছে, সেগুলো না খোলা পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। আমরা এটি নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছি। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব। কী উপায়ে বা কী প্রক্রিয়ার এটি করব। কবে নাগাদ তা শুরু হবে জানিয়ে দেয়া হবে।
কাজেই যারা এসএসসি পাস করে গেছেন, তাদের বলব- এই সময়টুকু কাজে লাগান। নতুন কিছু শিখুন। ভাষা শিখুন, নানা ধরনের দক্ষতার বিষয় রয়েছে; সেগুলো শেখার চেষ্টা করেন। নিজেদের দক্ষতার স্তরকে বাড়িয়ে নেন।
এই রকম সময় আমরা কখনো পাইনি। সংকটের সময় আবার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। যত উৎকণ্ঠায় থাকি না কেন, আমরা যদি এই সময়টুকু কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ব্যক্তিগত দক্ষতার স্তরকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। তাই যারা এসএসসি পাস করেছেন তাদেরকে বলব- নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন এই সময়ে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনায় প্রাদুর্ভাবে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত কী? কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে?
ডাঃ দীপু মনি: হঠাৎ পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে, একটা ভীষণ রকম হতাশা কাজ করে। আমি নিশ্চিত যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদেরও একই অবস্থা। আপনাদের জায়গায় থাকলে আমিও একই রকম বোধ করতাম।
এই অবস্থায় আমি আপনাদের বলব- একটা পাবলিক পরীক্ষা যেখানে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে পরিবার, শিক্ষকরা মিলে আরও কয়েক লাখ। আর করোনার এই সংকটে এতো লক্ষ মানুষকে নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করে এতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি আমরা নিতে পারি না। অধিকাংশদের গণপরিবহন ব্যবহার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে হবে, তাহলে তাদের বিপদ আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরাসহ পরিবারের সদস্যরাও ঝুঁকিতে পড়বেন। তাদের মাধ্যমে অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারেন। সুতরাং এই রকম একটি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে যাওয়ার মতো অবস্থা এখন আমাদের নেই।
সেই কারণে এই মুহূর্তে পরীক্ষাটি নেয়ার ব্যাপারে আমরা কিছু করতে পারছি না। যখন পরিবেশ আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। যখন পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। তখন অবশ্যই আমরা পরীক্ষা নেব। আর আমরা পরীক্ষা নেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। তারপরও কোভিডের কারণে এটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি আছে। সুতরাং শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রস্তুতি বজায় রাখবে।
অন্তত পক্ষে পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেব। হুট করে আজকে বলব না যে কালকে পরীক্ষা। যাতে পরীক্ষার প্রস্তুতিটুকু আরও ভালো করে নিতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের প্রতি আরেকটি অনুরোধ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য স্বাভাবিক সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর যে সময়টুকু সময় শিক্ষার্থীরা পান, এবার তা পাবেন না। কাজেই এখনই এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বজায় রেখে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতিও নিতে থাকেন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ২০১৮ সালে উপজেলা পর্যায়ে কলেজগুলোকে সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও এখনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসব কলেজের কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ের কাজ পুরোধমে চলছে। কিন্তু কবে সম্পন্ন হচ্ছে এই প্রক্রিয়া?
ডাঃ দীপু মনি: বর্তমানে ৩০২ কলেজে সরকারিকরণের কাজ চলছে। প্রতিটি কলেজের কাগজপত্র চেক করা হচ্ছে। অনেকগুলো ডকুমেন্ট দেখতে হয়। এই কাজের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। মন্ত্রণালয়ের অনেক জনবল এই কাজে যুক্ত রয়েছেন। এমনকি এই কাজে আগে যে জনবল নিযুক্ত ছিলেন, তা বাড়িয়ে পাঁচগুণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১২ হাজার জনবল নিয়োগের জন্য পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে। এ কাজ তরান্বিত করার সব চেষ্টাই আমরা করছি। তবুও জনবলের ঘাটতি একটা রয়েছে। তাই আরও সময় লাগবে।
আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব, সংশ্লিষ্টদের আরও কিছুদিন ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে- পুরো প্রতিষ্ঠানের কোন একজনের ডকুমেন্টের জন্য জনপ্রশাসন ফাইল আটকে দিচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি, যার ডকুমেন্টে সমস্যা রয়েছে তার ফাইল বাদ রেখে প্রতিষ্ঠানের কাজ এগিয়ে নেয়া যায় কিনা।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চলতি বছর প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। তবে এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও তিন হাজারের উপরে। এদিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখ নেই এমপিওভুক্তি বাবদ বরাদ্দ। ফলে নতুনভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের। এমতাবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত এমপিওভুক্তকরণের জন্য কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মন্ত্রাণলয়?
ডাঃ দীপু মনি: এখন থেকে কোন এলাকায় কেউ শিক্ষপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিলে আগে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। সরকার দেখবে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আছে কিনা। তখন সরকার নিজেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করবে, কাজেই নতুন করে এমপিওভুক্ত করার প্রয়োজন নেই।
এছাড়া সরকারের গড়ে তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যেসব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো এমপিওভুক্ত করার জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা বা শর্ত পূরণ করতে হবে আগে। ফলে যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ব্যাপারে সরকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
অতএব আমি অনুরোধ করব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সচেষ্ট থাকতে- তাদের শিক্ষার্থীর যে কাম্য সংখ্যা, পরীক্ষার ফলাফলের যে কাম্যতা রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। কারণ কোন যোগ্যতা অর্জন করার জন্য আগে তার প্রাপ্যতা তৈরি করতে হবে।
সুতরাং ওই ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জনের জন্য সকল শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্যদের একসঙ্গে সে কাজটুকু করতে হবে। আর যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্যতা অর্জন করবে তাদেরকে নিশ্চিয় পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্তের আওতায় নিয়ে আসব।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
ডাঃ দীপু মনি: ধন্যবাদ।