জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষককে ‘গণহত্যার দোসর’ আখ্যা, ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

জবি ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানের কক্ষের সামনে ব্যানার সাঁটিয়ে দিয়েছেন
জবি ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানের কক্ষের সামনে ব্যানার সাঁটিয়ে দিয়েছেন  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানকে ‘গণহত্যার দোসর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষকের কক্ষের সামনে ব্যানার সাঁটিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়াও ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জবি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দাবি করা হয়েছে, ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান জুলাই-আগস্টের গণহত্যা সমর্থণকারী এবং ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের অনুসারী। আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি ক্লাসে সরকারপন্থী মতামত প্রচার করেন এবং জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতা করেন।

ব্যানার টাঙানোর বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছাইফুল ইসলাম সবুজ (বিভাগের পঞ্চম ব্যাচ) বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে থাকবে, ফ্যাসিস্টদের পক্ষে কথা বলবে তাদের অবাঞ্ছিত করা এখন সময়ের দাবি। যৌক্তিকভাবেই আমি মনে করি, উনি চেয়ারম্যানের পদে থাকতে পারেন না, উনাকে অবাঞ্ছিত করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, উনি সব সময় ছাত্রদের বিপক্ষে কথা বলেছেন এবং তিনি সরাসরি ফ্যাসিস্টদের অনুসারী।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবিরের অনুসারী। তিনি জুলাই আগস্টের গণহত্যার দায় ছাত্রদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তার অফিসে এখনো শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে। তিনি ক্লাসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে কথা বলেন। পাশাপাশি জুলাই বিপ্লব নিয়ে সমালোচনা করেন।

ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। এটি পাঁচজন শিক্ষার্থীর পরিকল্পিত কাজ, যাদের এমফিল–সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বিলম্ব হয়েছিল। বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে ব্যানারটি সরিয়ে ফেলেছে।’


সর্বশেষ সংবাদ