১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৬

৩ পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি

পার্বত্য তিন জেলার অন্তর্বর্তী পরিষদ  © সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরনো চেয়ারম্যানদের সরিয়ে নতুন অন্তর্বর্তী পরিষদ পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি আগের সদস্যদের বাদ দিয়ে ১৫ জন নতুন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে যারা থাকবেন
১. অধ্যাপক থানজামা লুসাই (চেয়ারম্যান)
২. রাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা (সদস্য)
৩. ম্যা ম্যা নু (সদস্য)
৪. অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মার্মা (সদস্য)
৫. উম চিং মারমা (সদস্য)
৬. খামলাই ম্রো (সদস্য)
৭. মং এ চিং চাক (সদস্য)
৮ ডা. সানাই প্রু ত্রিপুরা (সদস্য)
৯. লাল জারলম বম (সদস্য)
১০. নাংফ্রা খুমী (সদস্য)
১১. সাইফুল ইসলাম (সদস্য)
১২. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (সদস্য)
১৩. মুহাম্মদ আবুল কালাম (সদস্য)
১৪. অ্যাডভোকেট মাধবী মার্মা (সদস্য)
১৫. খুরশিদা ইসহাক (সদস্য)

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে যারা থাকবেন
১. জনাব জিরুনা ত্রিপুরা (চেয়ারম্যান)
২. বঙ্গমিত্র চাকমা (সদস্য)
৩. অনিময় চাকমা (সদস্য)
৪. নিটোল মনি চাকমা (সদস্য)
৫. কংজপ্রু মারমা (সদস্য)
৬. কুমার সুইচিংপ্রু সাইন (সদস্য)
৭. সাথোয়াই প্রু চৌধুরী (সদস্য)
৮. ধনেশ্বর ত্রিপুরা (সদস্য)
৯. শেফালিকা ত্রিপুরা (সদস্য)
১০. প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা (সদস্য)
১১. মো. শহিদুল ইসলাম সুমন (সদস্য)
১২. অধ্যাপক আবদুল লতিফ (সদস্য)
১৩. মো. মাহবুবুল আলম (সদস্য)
১৪. জয়া ত্রিপুরা (সদস্য)
১৫. অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা (সদস্য)

রাঙামাটি জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে যারা থাকবেন
১. কাজল তালুকদার (চেয়ারম্যান)
২. দেব প্রসাদ দেওয়ান (সদস্য)
৩. প্রণতি রঞ্জন খীসা (সদস্য)
৪. প্রতুল চন্দ্ৰ দেওয়ান (সদস্য)
৫. বরুন বিকাশ দেওয়ান (সদস্য)
৬. ক্যওসিংমং (সদস্য)
৭. নাইউ প্রু মারমা (সদস্য)
৮. ড্যানিয়েল লাল মুয়ান (সদস্য)
৯. রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা (সদস্য)
১০. সাগরিকা রোয়াজা (সদস্য)
১১. দয়াল দাশ (সদস্য)
১২. মো. হাবীব আজম (সদস্য)
১৩. মিনহাজ মুরশীদ (সদস্য)
১৪. বৈশালী চাকমা (সদস্য)
১৫. লুৎফুন্নেসা বেগম (সদস্য)

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার এসব জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করেছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনর্গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ দায়িত্ব পালন করবে। আগের পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৯৮৯ সালে গঠন হওয়া জেলা পরিষদ আইনে ৩৩ জন সদস্য নিয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন সময় দলীয় সরকারে মনোনীত সদস্যরাই প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এতে ব্যাহত হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কার্যক্রম। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন পার্বত্য জেলায় ১৫ সদস্যের অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়।