১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৯

নেত্রকোনায় দুই কলেজে শতভাগ পাস, পরীক্ষার্থী ২ জন

গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ  © সংগৃহীত

সারা দেশের মতো গত ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ বোর্ডের নেত্রকোনায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জেলার দুটি কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেন এবং একটি কলেজে পাসের হার শূন্য।

ফলাফলে দেখা যায়, জেলার ৪৭টি কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেন এবং পূর্বধলা উপজেলার এ্যামবিশন মডেল কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন। ফলে দুটি কলেজে পাসের হার শতভাগ। দুটি প্রতিষ্ঠানই নন-এমপিওভুক্ত।

অন্যদিকে জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন উচ্চবালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে দুই জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন। ফলে এই প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য।

এ বিষয়ে এমবিশন কলেজের পরিচালক হানিফ উদ্দিন বলেন, ‘আমার কলেজ থেকে এ বছর প্রথম একজন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে। বর্তমানে আমার কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০০। আশা করছি আগামী দিনগুলোতে শিক্ষার্থী আরও বাড়বে এবং ফলাফল ভালো হবে।’

কেন্দুয়ার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমার কলেজ থেকে এ বছর একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে কলেজ শাখায় একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি থাকলেও বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ভবন সংকট ও অবকাঠামোগত কারণে এখানে কেউ ভর্তি হতে চায় না।

নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুবায়ের ছাইদ বলেন, এ বছর জেলার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। আগামীতে ফলাফল যাতে আরও ভালো হয়, সে জন্য সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জেলার ১০টি উপজেলার ৪৭টি কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেন। পাসের হার ৬২.৯০ শতাংশ।

এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় পাসের হার ৫৩.২৭; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৯ জন। মদন উপজেলায় পাসের হার ৫৭.৭৫ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ জন। বারহাট্টা উপজেলায় পাসের হার ৫৫.৫০ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। আটপাড়া উপজেলায় পাসের হার ৮৪.২১; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ জন। মোহনগঞ্জ উপজেলায় পাসের হার ৫০.৮২; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন। পূর্বধলা উপজেলায় পাসের হার ৬৫ শতাংশ। কলমাকান্দা উপজেলায় পাসের হার ৪৫.৫৩; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন। দুর্গাপুর উপজেলায় পাসের হার ৬১.৫৬; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ জন। সদর উপজেলায় পাসের হার ৪৩ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৯৫ এবং খালিয়াজুড়ি উপজেলায় পাসের হার ৭৪.১৫ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

এদিকে যেসব পরীক্ষার্থী ফলে অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তারা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ পাবেন। এই আবেদন শুরু হয় বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে, চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।