০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৫

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-শাসন নিশ্চিতের সময় এখনই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগে অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং স্কলার ও গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি এই শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষা শাসন নিশ্চিত ও অংশীজনদের দায়িত্ব-করণীয় নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফারুক হোসেন

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা কাঠামো সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নতুন ধাঁচের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সৃষ্টি, ব্যক্তিগত ব্যবস্থা বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অ্যাকাডেমিক সহায়তা সম্প্রসারণের দিকে পরিচালিত করেছে। এছাড়াও শিক্ষাদানের নতুন নতুন পদ্ধতি আবির্ভূত হচ্ছে। এসব পদ্ধতি ই-লার্নিং এবং ডিসট্যান্ট লার্নিংসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের পথকে সহজ করে দিচ্ছে। 

একইভাবে শিক্ষার্থীরা বহুমুখী দক্ষতায় বিকশিত হচ্ছে। তবে সবচেয়ে কার্যকর ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন বর্তমানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কার্যকর ও সুষ্ঠু শাসনের মাধ্যমেই মানসম্পন্ন সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। এই সংস্কৃতিই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষাদান এবং শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি অংশীজনদের অংশগ্রহণকে ত্বরান্বিত করে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দেশ ও জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকৃত ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: গবেষণা, শিক্ষাদান এবং জনসেবা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যগত ভূমিকা। তবে অংশীজনেরা এসব উচ্চশিক্ষা এবং ঐতিহ্যগত ভূমিকার পাশাপাশি আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত সামাজিক প্রভাব-প্রবণতা আশা করে। বলা বাহুল্য, দেশ ও জাতিগঠনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষত, একটি মেধা ও মননশীল জাতি তৈরির প্রধান ক্ষেত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে এবং ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মতবাদের ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার প্রকৃত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে করণীয় কী?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়কে সফল হতে হলে অবশ্যই সেখানে দায়িত্বশীল এবং দক্ষ শাসনব্যবস্থা থাকতে হবে। সুশাসন বিকাশের জন্য এমন শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন যিনি বা যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াকে নিশ্চিত করতে পারবেন। তাঁর কাজ হবে প্রতিটি ব্যক্তির স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলিকে সবার সামনে এনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। 

লক্ষ্য রাখতে হবে—এ পরিবেশে যেন দলগত কাজ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এই শক্তিশালী নেতৃত্ব দ্বারা সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে। স্বভাবতই, ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একজন দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তাকে সবসময় সামনে রাখে, সুস্পষ্ট সমস্যা খুঁজে তার সমাধানে মনোনিবেশ করে এবং এর জন্য সকল প্রকার ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত থাকে।

‘‘আমরা দেখেছি, গতানুগতিক শাসন কাঠামো দীর্ঘকাল ধরে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা একবিংশ শতাব্দীর জটিলতা নিয়ে আলোচনা করছি। এখন গতানুগতিক এসব শাসন কাঠামো নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।’’

কঠোর শাসন কাঠামো, জবাবদিহিতার অভাব, সীমিত মান নির্ধারণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, খণ্ডিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্থবির নেতৃত্ব কাঠামো, অপর্যাপ্ত অংশীজন সংশ্লিষ্টতা, পরিবর্তনের পথে বাধা, বাজার ব্যবস্থা গতিশীলতার ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত সাড়া এবং সঠিক ভবিষ্যদ্বাণীর অভাব বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন শিক্ষাগত সুশাসন অর্জনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং দক্ষ শাসন কাঠামো তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবেই বিশ্ববিদ্যালয় একটি সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারবে বলে আশা রাখি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শাসন কাঠামো তৈরির উপায় কী?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: দলীয় সরকারের অধীনে নিয়োগ এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নিয়োগের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য সুস্পষ্ট। অনেকটা যাচাই-বাছাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসন নিয়োগ করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতি নিযুক্ত প্রশাসকদের, বিশেষ করে উপাচার্যকে উপরিউক্ত সমস্যাগুলিকে গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তা মোকাবেলার চেষ্টা করা উচিত। গৃহীত পদক্ষেপগুলোতে যেন সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের এসব প্রাতিষ্ঠানিক নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত করতে হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মিত তাদের গৃহীত পদ্ধতির মূল্যায়ন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে। অংশীজনদের কার্যক্রমকে মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে এই মূল্যায়ন করতে হবে। এই পুনরাবৃত্ত প্রক্রিয়ায় যেন বিশ্ববিদ্যালয়টি সর্বদা শিক্ষার পরিবর্তনের প্রতি নমনীয় এবং সংবেদনশীল হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ অংশীজনকেও নীতি গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আগ্রহের সাথে অংশ নিতে হবে এবং উপাচার্যকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পাঠ্যক্রম উন্নয়নে কোন কোন বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখা উচিত বলে মনে করেন? 
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: সামাজিক চাহিদার প্রতি নজর রেখে বিশ্বব্যাপী দক্ষতা এবং গবেষণা উন্নয়নের জন্য পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে। এই পাঠ্যক্রম তৈরির সময় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় চাহিদা বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সফলভাবে শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হলে অংশীজনদের থেকে একটি ব্যাপক ও বোধগম্য পদ্ধতি এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শিক্ষা শাসন নিশ্চিত সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্মিলিত নেতৃত্ব প্রদর্শন করতে হবে। অ্যাকাডেমিক মান ও কৌশল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করা ব্যক্তিদেরকে উপযুক্ত অ্যাকাডেমিক কাঠামোর মাধ্যমে সর্বোত্তম শিক্ষা, গবেষণা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে উপাচার্যকে নেতৃত্ব দিতে হবে। 

ক্যাম্পাসের সমস্ত কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক দিকগুলি দেখভাল করা উপাচার্যের কাজের আওতার মধ্যে পড়ে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করে সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে সকল দল ও অংশের সমন্বয়ে প্রশাসন গড়তে হবে। বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন করে বহুজনকে কাজে নিয়োগ করতে হবে। এতে নিয়োজিত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মনে করবে এবং উপাচার্যকে সহায়তা করবে। কোন একটি অংশকে বঞ্চিত করলেই কোন্দলের রাজনীতি শুরু হবে যা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে আপনার পরামর্শ কী?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং একটি সফল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য উপাচার্যকে কৌশলগত পরিকল্পনার উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। গবেষণা প্রকল্প এবং পিপিপি উন্নয়নের জন্য উপাচার্যকে সরকারি এবং অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা করতে হবে। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধি, কাজের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ অধ্যাপক নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার আয়োজন করে শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহ জোগাতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আর্থিক সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। এই সংকট সমাধানে কোন উপায় কি?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক দক্ষতা উন্নয়নের জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি বরাদ্দ এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থায়নের সম্ভাব্য উৎসের মধ্যে রয়েছে দাতা সংস্থা, কোম্পানি বা পাবলিক সেক্টর ইউনিটের সিএসআর বাজেট ইত্যাদি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে উৎসাহিত করতে এবং গবেষণার মান উন্নয়নে উপাচার্যকে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারলে বিভিন্ন দাতা সংস্থা আগ্রহভরে এই বরাদ্দ দিবেন বলে বিশ্বাস রাখি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় রেখে র‍্যাংকিং এগিয়ে নিতে আপনার পরামর্শ কী?
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অর্জনে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন করা এবং এসব প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা আবশ্যক। একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন অর্জন এবং খ্যাতি প্রচার করতে হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন নামি-দামি প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো প্রয়োজন। এতে সকল অংশীজন আগ্রহের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সহযোগী হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট আপডেট রাখা এবং নিজেদের সামগ্রিক কার্যক্রমকে ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক এবং বার্ষিক মূল্যায়ন করতে হবে। মূল্যায়নে যে-সব সমস্যা উঠে আসবে তা সমাধানে দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে র‍্যাংকিংকে এগিয়ে থাকবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা শাসন নিশ্চিতে আপনি কতটুকু আশাবাদী? 
অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম: আমি বিশ্বাস করি, নবনিযুক্ত উপাচার্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের মান বৃদ্ধির জন্য নতুন ও সৃজনশীল পন্থা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন এবং ধাপে ধাপে প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগুলির সফলভাবে প্রয়োগ করবেন। শিক্ষা শাসন অর্জনের জন্য উপাচার্যকে অবশ্যই বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা, নৈতিক অবস্থান এবং প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্বের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে। তবেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন হবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে পারবে।