নোবিপ্রবিকে সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আনাই লক্ষ্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। সম্প্রতি তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পরবর্তী চার বছর জন্য এ দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। নোবিপ্রবির হালচাল ও পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের নানা দাবি এবং আগামীর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে। গল্প-আলাপে পাঠকদের জন্য তার চুম্বক অংশ তুলে ধরছেন ইরফান এইচ সায়েম
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নোবিপ্রবির উপাচার্য পদে যোগদানের প্রথম সপ্তাহের অভিজ্ঞতার গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই… শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা কীভাবে বরণ করে নিলেন?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের নোবিপ্রবির সকলেই আমাকে সাদরে গ্রহণ করে নেয়। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে সকল কার্যক্রমের শুরু করি। ওইদিনই আমাদের সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছি। প্রথম কার্যদিবসে এসেই আমি শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করি। তখন ক্লাসগুলোতে ভিজিট করে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি তাদের সেশনজট দূর করার চেষ্টা করবো এবং ওইদিনই সন্ধ্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের সব হল ভিজিট করেছি। শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে সবাই খুব আন্তরিক। আমি মনে করি, আমাদের যে রিসোর্সগুলো আছে তা ব্যবহার করতে পারলে সবাই শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাবে এবং নোবিপ্রবি সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছাবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বর্তমানে আপনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তরুণ একজন উপাচার্য। এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: এ পদটিতে বয়সের সাথে সাথে অভিজ্ঞতারও একটি বিষয় রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যারা আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন তারা অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে দিয়েছেন। আপনারা জানেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৮ বা ৪২ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দায়িত্বের বিষয়টি যেভাবে সরকার মনে করেন সেভাবেই দিয়েছেন। তারা যে বিশ্বাসে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন আমি সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করবো এই প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় বিশ্বমানে নিয়ে যেতে এবং কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসতে। আমার ক্ষুদ্রতর অভিজ্ঞতার আলোকে সর্বক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের চেষ্টা করবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার নিয়োগের মেয়াদ ৪ বছর। এ সময়কাল নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী? ২০২৮ সালের সেপ্টেম্বরে নোবিপ্রবিকে কোথায় দেখতে চান?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: প্রথমত ২০২৮ সালের মধ্যে চেষ্টা করব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে সেশনজটের মধ্যে একদিনও না কাটাতে হয়। দ্বিতীয়ত, আশা করি ২০২৮ সালের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ৫০০-এর মধ্যে নিয়ে আসতে পারবো বাআরও এগিয়ে আনতে পারবো। বিজ্ঞান ও গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলোতে যদি আমরা বেশি জোর দিতে পারি তাহলে আমাদের র্যাঙ্কিং আরও আগে চলে আসবে। এ দুইটি বিষয়কে মৌলিক ধরে অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবো। এছাড়াও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের যে ক্ষতগুলো তা দূর করে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করাই আমার লক্ষ্য।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মৌলিক গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। যদিও নোবিপ্রবির ৩১টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে মাত্র ২টি বিভাগে এ বছর পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হলো। বাকিগুলোর বিষয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী হবে?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউএস র্যাঙ্কিং মৌলিক গবেষণার সাথে সাথে প্রায়োগিক গবেষণাও প্রয়োজন। মৌলিক গবেষণাকে যদি আমরা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারি সেটা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এম.ফিল, পিএইচডি শিক্ষার্থী যদি না থাকে তা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গবেষণা চালিয়ে যেতে কঠিন হয়ে যায়।
সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি বিভাগ পিএইচডি কার্যক্রম শুরু করেছে। আমি বিশ্বাস করি কোনো ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের সক্ষমতার অভাব রয়েছে কিন্তু আমরা অনেকগুলো বিভাগে পিএইচডি কার্যক্রম শুরু করতে পারব। যা দিয়ে আমরা বিশ্ব মানের গবেষণা করতে পারবো এবং এই গবেষণাগুলো প্রায়োগিক ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন বিভিন্ন সেন্টার রয়েছে সেরকম সেন্টার তৈরি করবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: অপেক্ষাকৃত কম বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সংকট পরিলক্ষিত। প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক দিয়েই বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নোবিপ্রবির চিত্রও ভিন্ন নয়। গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম নিশ্চিতে শিক্ষক সংকট মোকাবেলায় আপনার পরিকল্পনা কী?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: ছোট বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো আছে সব বিশ্ববিদ্যালয় একই সমস্যা। অধ্যাপকেরা গবেষণার মাধ্যমে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে। আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অধ্যাপকের সংকট রয়েছে এইক্ষেত্রে ইউজিসি যদি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করে নীতিমালা তৈরি করে তাহলে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব এবং বিদেশ থেকে ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর বা ভিজিটিং প্রফেসর এনে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি তাহলে আমি মনে করি আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে পারব।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একাডেমিক-৩ ভবনকে নোবিপ্রবির দুঃখ বলা হয়ে থাকে। ভবনটির উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে যাওয়াকে নোবিপ্রবির অবকাঠামো সংকটের মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগের প্রশাসন একাডেমিক-৩ সংকট সমাধানে ব্যর্থ হয়। এক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের উদ্যোগ কী হবে?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: এটি সত্যিই আমাদের খুব দুঃখের একটি কারণ। বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিগত প্রশাসন এটির উন্নয়ন করতে পারেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি থেকে যেন দ্রুতই সংস্কারের জন্য অনুমোদন দেয়। আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ যেখানে যেখানে যোগাযোগ করা দরকার, ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছি। আমাদের ডিপার্টমেন্ট অফ প্ল্যানিংয়ের অফিসারদের সাথে এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে বসেছি। আমরা আশা করি আমাদের শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান মহোদয়ের একান্ত সহযোগিতায় খুব দ্রুত সমাধান করতে পারব। এটা অনস্বীকার্য যে এ ভবনের যদি আমরা দ্রুত সংস্কার না করি তাহলে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম প্রচণ্ডভাবে ব্যহত হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কে বেশ অবনতি ঘটেছে, এ পরিস্থিতির উন্নয়নে কোনো বিশেষ কর্মসূচি নেবেন কী?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: এটা অনেকাংশে সত্য, আমি এজন্যই এসে প্রথমেই ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়েছি। আমরা ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সাথে আরও বৈঠক করব। দ্বিতীয়ত, সম্প্রতি নোবিপ্রবিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীনই একটি নীতিমালা দেওয়া ছিল ২০ বছরের জন্য সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ। যদিও অনেকাংশে এটি পালিত হয়নি। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের সম্পর্ক গবেষণা নিয়ে। এ সম্পর্কে যেখানেই ক্ষত তৈরি হবে সে ক্ষত যদি আমরা বন্ধ না করতে পারি, তাহলে আরও খারাপ হবে। কাজেই সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব।
আমাদের সব কর্মকাণ্ডে যেন ছাত্রদের প্রতিনিধি থাকে সে বিষয়ে জোর দেব। এর ফলে আমরা তাদের ভয়েস পাব এবং সে অনুযায়ী আলোচনা করব। নোবিপ্রবির সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের স্পষ্টভাবে বলেছি, ছাত্রদের জন্যই আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে; কাজেই তাদের চাওয়াই আমাদের অন্যতম প্রায়োরিটি। রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে এসে যেন লাঞ্চের পর আসেন এধরণের কথা না শুনতে হয়। আশাকরি ধীরে ধীরে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।
আরো পড়ুন: ‘এখনো পরীক্ষা বাতিলের সুযোগ আছে, দিতে হবে প্রশ্নফাঁসের অকাট্য প্রমাণ’
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নোবিপ্রবির আগের প্রশাসনের অনেক কর্তাব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। এসব বিষয়ে তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেবেন কি না?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: অনেকগুলো অনিয়মের অভিযোগই এসেছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যত দ্রুত নিয়ে যেতে পারি তা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছি, সেশনজটসহ জটিল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা অভিযোগগুলোর জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি খুব দ্রুতই গঠন করব।
অনিয়মের যে অভিযোগগুলো আছে, তারা যদি আসে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করবো। কোনো অনিয়ম যদি হয়ে থাকে এগুলো যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে রিজেন্ট বোর্ডে অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। এটা খুব দুঃখজনক যে আমাদের ভিসিসহ যারা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া উচিত না। আমরা এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি বর্তমান প্রশাসন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির মাধ্যমে বের করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: উপকূলীয় এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সমুদ্র বিজ্ঞান বা ব্লু ইকোনোমি বিষয়ে বিশেষ কোনো অ্যাকশন প্ল্যান রয়েছে কি না?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: আমাদের একটা প্রজেক্ট ছিল ওশানোগ্রাফি রিসার্চ সেন্টার করা। বিভিন্ন কারণে এই প্রজেক্ট স্থগিত হয়ে আছে। আমরা এই প্রজেক্ট কন্টিনিউ করতে চাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটা বড় উদ্যোগের দরকার। যে ফান্ডিং দেওয়ার কথা সেটা দ্রুত পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করব।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শেষ করব একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন দিয়ে। আপনি শিক্ষকতায় আসার জন্য প্রশাসন ক্যাডার ছেড়ে এসেছেন। এর কারণ কী ছিল?
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: আমি ২৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নির্বাচিত হয়েছিলাম। তবে শিক্ষকতাকে আমি আমার পেশা হিসেবে নিয়েছি এবং এটা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি যে সেক্টরেই যাই সেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার মাধ্যমে যেহেতু দেশের মৌলিক পরিবর্তন সম্ভব, বিরাট জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করা সম্ভব তাই আমার প্যাশন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় চলে আসি। এরপর জানেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করেছি।
উন্নত বিশ্বের রিসার্চ ল্যাব, শিক্ষা ব্যবস্থা দেখেছি। আমার বিশ্বাস দেশের যেখানেই থাকি না কেন উন্নয়নের জন্য উন্নয়নের জন্য সবাইকেই কাজ করা উচিত। এটা বিষয় না আপনি শিক্ষকতা করছেন না বিসিএস ক্যাডার সব পেশা থেকেই দেশকে সেবা করার সুযোগ আছে। দেশের সেবাটাই সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আমার অভিজ্ঞতা থেকে একটা কথাই বলতে পারি নোবিপ্রবিকে কিউএস র্যাংকিংয়ের একটি সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যাবো এবং শিক্ষা ও গবেষণায় যেটা আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেও ধন্যবাদ।