সাক্ষাৎকারে এনা গ্রুপের এমডি
২০ শতাংশই যথেষ্ট, ঢালাও এমএ পাস দরকার নেই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:০২ PM , আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:১৩ PM
বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থই দেশের অগ্রগতির ধারাকে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন করা। আর এ কারণেই দেশের অর্থনীতি কখনো শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হতে পারে না, হওয়া সম্ভবও নয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনায় কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়েই রাজু আলীম কথা বলেছেন এনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. এনামুল হক এমপি’র সঙ্গে। সাক্ষাৎকারের একটি অংশ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন : এত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, আইন প্রণেতা হিসেবে আপনারা কী করছেন?
ইঞ্জি. এনামুল হক এমপি : ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পাস করেছে এইচএসসি। আমাদের যতগুলো পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে তাদের ভর্তি ক্যাপাসিটির বেশি, শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না অনেকেই; এটি এক নম্বর। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি দেখভালের জন্যে ইউজিসি আছে, এটি লেম এক্সকিউজ। পৃথিবীর সবগুলো বড় ইউনিভার্সিটিই কিন্তু প্রাইভেট। ইউজিসি ইজ নট অ্যানাফ টু সি ইউ?
সরকার অনেক ইউনিভার্সিটি দিচ্ছে, এটি নিত্যপ্রয়োজনীয়। এই সরকার একবারে গ্রামে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটা কৃষি ইউনিভার্সিটি দিয়েছে। গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর নামে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। এতে বেশ দূরের মানুষও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করা হচ্ছে।
প্রশ্ন : আপনার প্রতিষ্ঠানগুলোতে যখন নিয়োগ দিচ্ছেন তখন কেমন কর্মী আপনারা পাচ্ছেন?
ইঞ্জি. এনামুল হক এমপি : আমাদের এখন কারিগরি শিক্ষা খুবই দরকার। সবাইকে ঢালাও এমএ পাস করার দরকার নেই। এই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো হওয়াতে একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এটাকে আরেকটু কন্ট্রোল করে যেসব স্টুডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার যোগ্য তাদেরই সেখানে যাওয়া উচিত। তা ২০ শতাংশের বেশি দরকার নেই। বাকি ৮০ শতাংশ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। এ মুহূর্তে মাত্র ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ে কারিগরি শিক্ষায়। এখানে দরকার ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ। এই সরকার সারাদেশে ৫২টি পলিটেকনিক করছে এবং টিটিসি করা হচ্ছে প্রতিটি উপজেলায়। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এলে একাডেমিক সার্টিফিকেটের চেয়ে দরকার দক্ষ কর্মী। উত্তরবঙ্গে আমি একটা সোয়েটার কারখানা করেছি, সেখানে আমি লোক পাচ্ছি না। সেখানে আমি নিজেই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে শিখিয়ে তাদের কাজে লাগাচ্ছি।
কিন্তু এমএ পাস ছেলে আসে সার্টিফিকেট নিয়ে, সে চাকরি চায়; কিন্তু কাজ করতে চায় না। মানসিকভাবে পরিবর্তন দরকার। এম পাস বা এমবিএ পাস করে অফিসিয়াল জব চায় সবাই। কিন্তু আমাদের তো কর্মী দরকার? ইতোমধ্যে ইউনিভার্সিটিগুলো জব রিলেটেড অ্যাডুকেশন শুরু করেছে। কিন্তু তা হচ্ছে হায়ার স্কেলে। উন্নত দেশে এত হায়ার ডিগ্রি নেই। আমেরিকাতে ১৮ পারসেন্ট ছেলেমেয়ে ইউনিভার্সিটিতে, পড়ে বাকিরা নিচে থাকে।