মানারাতকে শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনতে চাই
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন দুই যুগেরও বেশি সময়কাল। একাধারে তিনি শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং সাহিত্যিকও। অধ্যাপনার পাশাপাশি অনুবাদ, গবেষণা ও মৌলিক সাহিত্য সৃষ্টিতে সমান পারঙ্গম এ লেখক সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত শাকির সবুর নামে। ২০২২ সালে ইরান সরকার কর্তৃক ২৯তম ইরানস ওয়ার্ল্ডবুক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত এ লেখকের এ যাবত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৪টি। এছাড়াও তিনি ফারসি ভাষায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এবং তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী অনুবাদ করেছেন।
সম্প্রতি তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বেসরকারি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে। পাঁচ দশকের বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষার পরিবেশ-সুযোগ এবং মানারাতকে নিয়ে তার স্বপ্ন-ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার মুখোমুখি হয়েছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। পাঠকদের জন্য সে গল্প-আলাপ তুলে ধরেছেন অনলাইনটির নিজস্ব প্রতিবেদক খাঁন মুহাম্মদ মামুন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মানারাত হলো কেন?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: মানারাত আরবি শব্দ; ‘মানার’ অর্থ আলোকিত। সেখান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা এ শব্দটি নিয়েছেন। মানারাতের জন্ম ২০০১ সালে; মূল স্লোগান ‘সেন্টার অব অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড মোরাল এক্সিলেন্স’। এখানে শুধু এক্সিলেন্স শিক্ষাই নয়, সাথে নৈতিকতা মানাও বাধ্যতামূলক। যেমন সৎ, ভালো এমনকি মানবিক মানুষ হতে গেলে আগে নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হতে হবে।
‘পানির অপর নাম জীবন’—এটি আগে বলা হতো; এখন বলা হচ্ছে ‘বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন’। অর্থাৎ পানি বিশুদ্ধ না হলে তা ক্ষতির কারণ হবে। ঠিক একইভাবে সুশিক্ষা না হলে তা ভালো কিছু বয়ে আনবে না। সুশিক্ষার ধারণাই হচ্ছে ভালো মানুষ তৈরি করা। এটি মানারাত আগেই বুঝতে পেরেছে—সেজন্য শিক্ষার সাথে এখানে নৈতিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কর্তা তথা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে প্রাথমিকভাবে আপনি কোন বিষয়গুলোয় প্রাধান্য দিচ্ছেন? বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন জানতে চাই।
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানত শিক্ষার্থীদের। তাদের সহায়তা করার জন্যই রয়েছেন শিক্ষকরা। আমার আসরে তাদের সহায়ক, সেটি উপাচার্য কিংবা একজন কর্মকর্তাও হোক না কেন। আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি, শিক্ষার্থীদের ভালো পড়াশোনার সুযোগ, শিক্ষকদের ভালো পাঠদান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ভালো সম্পর্ক, শিক্ষা-সহশিক্ষার বাইরেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি।
শিক্ষার নানা আয়োজনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সহশিক্ষার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ
আমরা চেষ্টা করছি, যাতে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও আমরা অনলাইন এবং সরাসরি মিলিয়ে এ সেমিস্টার শেষ করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই সময় মতো গ্রহণ করবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ‘কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যাট আন অ্যাফোর্ডঅ্যাবল কস্ট’—এটাই কী মানারাত ইউনিভার্সিটির বিশেষত্ব? ভর্তিচ্ছুরা কেন এ উচ্চশিক্ষালয়কে বেঁচে নেবে?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: মানারাতে আমরা সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। এখানকার আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’। মানারাতের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা খুব ভালো অবস্থানে ছিল না। বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় রয়েছি। আশা করছি, এটি অব্যাহত থাকলে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশের তালিকায় প্রবেশ করতে পারবো। যদিও এখনও সমাজের একটি বৃহত্তর শ্রেণি অতটা স্বাবলম্বী নয়।
আগে আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য খুব বেশি প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন আমাদের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে মানের প্রশ্ন আসছে। এখন ইউজিসি, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলগুলো আমাদের মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিচ্ছে এবং আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা মানারাতের টিউশন ফি নির্ধারণ করেছি। এর বাইরে আমাদের বেশ কিছু স্কলারশিপ প্রোগাম রয়েছে। এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা এখানে সম্পূর্ণ স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। তাদের কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না। এছাড়াও সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে থাকলে তারা ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা এখন সামাজিক বিভাজনে সহায়তা করছে
এর বাইরে মেধাবী কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদেরও মানারাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমাদের এখানে সিএসই বা ইইই পড়তে হলে একজন শিক্ষার্থী কোনো ওয়েভার ছাড়াই ৪ লাখ টাকার মধ্যে শেষ করতে পারেন এবং ওয়েভার থাকলে ৩ লাখের মতো অর্থেই স্নাতক শেষ করতে পারেন।
অথচ পাশেই থাকা ড্যাফোডিলে একজন শিক্ষার্থীকে একই বিষয়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। এর বাইরে আমাদের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার সুযোগ রয়েছে। ওয়েভার থাকলে এটি ৯০ হাজারেই সম্ভব। যেখানে আমাদের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও একজন শিক্ষার্থীকে ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হয়।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দাবি থাকে তারা সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে বেশি অর্থ নিচ্ছে—সেক্ষেত্রে কম অর্থে মানারাত মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: মানারাত ইউনিভার্সিটি কখনো লাভের চিন্তা করে না। সবসময়ই আমরা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। ফলে একটি কোর্স-কারিকুলাম পরিচালনার জন্য যতটুকু খরচ নেওয়া দরকার ততটুকুই গ্রহণ করা হয়। সেজন্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় আমরা কম খরচে শিক্ষা-সেবা দিতে পারছি। আর মানের দিক থেকে আমরা অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে নেই।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পরিবর্তিত বাস্তবতা এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোর্স কারিকুলামে নতুনত্ব কতটুকু?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তত্ত্বাবধানে আমাদের কোর্স-কারিকুলামগুলো পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও আইকিউএসি এবং ওবিই নির্দেশনা অনুযায়ী এটি পরিচালিত হচ্ছে। একুশ শতকের উচ্চশিক্ষার যে ধারণা— ইন্ড্রাস্ট্রি একাডেমিয়ার কোলাবরেশনের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার পরিকল্পনা করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ইন্ড্রাস্ট্রি-একাডেমিয়ার কোলাবরেশনের কথাই যদি বলি, তাহলে মানারাত থেকে বের হওয়ার পর এখানকার শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়ার হার কেমন? চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কী?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন ধরনের ইন্ড্রাস্ট্রির সাথে চুক্তির চেষ্টা করছি। আইটি, ফার্মেসি, ব্যবসাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি সম্ভব হলে আমাদের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানের ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন এবং পরবর্তীতে কাজের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষায় আমরা সেভাবে পরিবর্তন আনিনি, আনার চিন্তাও করিনি’—এটা দুঃখজনক
এছাড়াও আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বিগত ২১ বছরে আমাদের অনেক অ্যালামনাই বের হয়েছেন—তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। আপনি জানেন, অক্সফোর্ড-হাভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নয়। এসব প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে এ অ্যালামনাইদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরাও সেটি করার চেষ্টা করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আমাদের উচ্চশিক্ষার মানের প্রশ্নে বিভিন্ন সময়ে নানা আলোচনা উঠছে। পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পরিমাণগত শিক্ষার বাইরে গেলে এখন আমাদের শিক্ষার গুণগত মান কতটুকু বেড়েছে?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: আগে আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য খুব বেশি প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন আমাদের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। নব্বইয়ের দশকেও ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট ছিল। এর বাইরে খুব বেশি প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন আমাদের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬৩টির মতো; এর মধ্যে ১৫৬টির মতো পাঠদান করছে। ফলে মানের প্রশ্ন আসছে। এখন ইউজিসি ও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলগুলো আমাদের মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিচ্ছে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
মানারাতের স্থায়ী ক্যাম্পাস
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘যোগ্যতা’ দেখে নিতে চায়। সে বিবেচনায় ‘অ্যাকাডেমিক্যালি বেস্ট পারফরমেন্স’ নাকি ‘আউটস্ট্যান্ডিং স্কিল’ কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো স্কিল দেখছে—আমি সেটিকেই এগিয়ে রাখব। এর পাশাপাশি সার্টিফেকেটও লাগবে, এটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। ভাষাগত দক্ষতা এবং যোগাযোগ দক্ষতাও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের ওয়েভার পলিসি কেমন?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: আমাদের সবগুলো প্রোগামেই শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে আমাদের শিক্ষক, ক্লাব মডারেটররাও মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওয়েভারের জন্য সুপারিশ করেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারণ অনেক শিক্ষার্থীই তার সমস্যার বিষয়টি প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন। সেজন্য মানারাত নিয়মিত স্কলারশিপের বাইরেও শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে স্কলারশিপ দেওয়ার করে।
মানারাত যখন শুরু করে তখন দেশের বেসরকারি খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল পাঁচ-ছয়টি। আমার লক্ষ্য হলো মানারাতকে দেশের শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনতে চাই।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখন শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষাকেও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে ধরা হয়; মানারাতের শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে কি-না?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন বলা হতো ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস’; এখন বলা হচ্ছে ‘কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস’। অর্থাৎ এখন এটিকে শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমাদের এখানে বর্তমানে ১৫টি ক্লাব রয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক আয়োজন হয়; যেখানে মানারাতের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাইরের শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত উচ্চশিক্ষায় দেশের অর্থ ও মেধার অপচয়
মানারাতের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে থাকতে পারলে তাদের জন্য সর্বোচ্চ শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরাও আংশিক স্কলারশিপের সুযোগ পান। আর যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জন থাকে, তারা মানারাতে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপ সুবিধা পেতে পারেন। অর্থাৎ আমরা শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষাকেও এগিয়ে নিচ্ছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আগামী এক দশক পর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে কোথায় দেখতে চান?
ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান: এক দশক পর তো আমি এখানে থাকব না। মানারাত যখন শুরু করে তখন দেশের বেসরকারি খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল পাঁচ-ছয়টি। আমার লক্ষ্য হলো— মানারাতকে দেশের শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনতে চাই।