০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৪

‘কৃষি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহার দৃশ্যমান’

অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মাদ  © সংগৃহীত

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মাদ। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট সরকার তাকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়। কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইরফান হক

প্রশ্ন: প্রাচীনতম কৃষি শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেকৃবির অবদান কেমন?

উপাচার্য: বাংলাদেশে প্রাচীনতম কৃষি শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান শেকৃবি। ১৯৩৮ সালে সাধারণ কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপিত এ ইনস্টিটিউটটি ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। এ দেশের কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে শেকৃবির একক অবদান রয়েছে। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরুর পর ১৯৬২ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এখানকার প্রিন্সিপাল ইমদাদুল হক খান এটি স্থাপিত করেছিলেন। এছাড়া এখানকার সিনিয়র শিক্ষকরা সেটি চালু করেছেন। এ দেশের জনগণের খাদ্য ঘাটতি পূরণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা নানাভাবে গবেষণার মাধ্যমে এ ভূমিকা রাখছে। এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা প্রথম কৃষির সব কিছু প্রতিষ্ঠা করেছে। পরবর্তীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরাও অবদান রাখছে। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত শেকৃবির গ্র্যাজুয়েটরা সব ধরনের কৃষিজাত অবিষ্কারে অবদান রাখে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও অবদান রয়েছে।

  • দেশে উচ্চতর কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বলবেন?
  • তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের এ অংশে অধিকাংশ জায়গা কৃষির ওপর নির্ভর ছিল। হাজার বছর ধরে এ ঐতিহ্য চলছে। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ইংরেজ শাসন এলে জনগণ শোষিত হতে থাকে। এছাড়া উন্নত চাষাবাদ না থাকায় কয়েকটি বড় বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এতে দেড় কোটি লোক মারা যায়। তখন ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন চাপে পড়ে। কেন এত লোক মারা গেছে, সেজন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়। তারা কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে দেখে এ দেশের চাষাবাদ প্রক্রিয়া মান্দাতার আমলের, উচ্চতর কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা, উন্নতজাতের বীজ দিয়ে চাষাবাদ করা, বৈরি পরিবেশে দুর্যোগ টেকেল দেওয়াÑ এসব বিষয়ে জ্ঞান না থাকায় টোটাল ফসল কম হয়। এতে না খেয়ে দুর্ভিক্ষে মারা যায় লোকজন। এতে ভারতবর্ষে উচ্চতর কৃষিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়। তখন ভারত ও পাকিস্তানে একটি করে কৃষি ইনস্টিটিউট এবং এটাও (বর্তমানে শেকৃবি) করা হয় ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর। অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তিনি জানতেনÑ এ দেশের কৃষক কীভাবে বঞ্চিত। এজন্য এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা।
  • দেশে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণে শেকৃবির গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণা কেমন?
  • আমার অনেক সরাসরি ছাত্র আছে, বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। প্রশাসনেও রয়েছে। আমাদের অনেক আগে এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা সেসব কৃষি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশ-বিদেশে কৃষি, রাজনীতি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণা রয়েছে। তারা দেশের কৃষি উন্নয়নে অপরিসীম অবদান রাখছে।
  • গত ১৪ আগস্টভিসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছর পূর্ণ করলেন। এ সময়ের মধ্যে কোন কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন?
  • প্রত্যেক জায়গায় আমি কাজ করতে চেষ্টা করেছি। এমন কোনো জায়গা নেই যে কাজ করা হয়নি। সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আছে, অর্জন আছে এবং সেটা অব্যাহত রয়েছে। অবকাঠামো থেকে শুরু করে সাইন্টেফিক ডেভেলপমেন্ট, কোর্স কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, নতুন ডিগ্রি চালু করা, নতুন ফ্যাকাল্টি চালু করাসহ সব ধরনের উন্নয়ন দৃশ্যমান। 
  • শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?
  • আমাদের বর্তমানে পাঁচটি অনুষদ চালু রয়েছে। আগামীতে প্রকৌশলী ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ফুড প্রসেসিং, আইসিটিসহ কয়েকটি ডিগ্রি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানীর মধ্যে হওয়ায় গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই। এ জন্য কি কোনো পদক্ষেপ রয়েছে?
  • পদক্ষেপ রয়েছে। এ এরিয়ার মাস্টারপ্ল্যান আমার হাতে করা, যেটি ১৯৯৬ সালে করেছিলাম। এখানে একটি আবাসিক এলাকা, ছাত্রদের আবাসন ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ও শিক্ষার জন্য জায়গা এবং সামনে রয়েছে গবেষণার জন্য জায়গা। আগামীতে আমারা এসব বর্ধিত করব। গবেষণার জন্য একটি আলাদা জায়গা খুঁজা হচ্ছে। এজন্য কমিটিও করা হয়েছে। তাদের বলছি, ১০০ কিংবা ২০০ একর একটি খাস বা স্বল্পমূল্য জমি খুঁজতে। এটার চেষ্টা চলছে। এটা দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে না, এটার নাম হবে ফিল্ড ল্যাবরেটরি। ক্যাম্পাসে মাছ গবেষণার জন্য একটা জায়গা উন্মুক্ত করা হচ্ছে। এখানে গবেষণা করার বা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
  •  ক্যাম্পাসের বেদখল জায়গা পুনরুদ্ধারের কোনো চিন্তা-ভাবনা রয়েছে কিনা?
  •  শুরুর দিকে ক্যাম্পাস ২৯৮ একর ছিল, বর্তমানে সেটা কমে ৮৭ একরে। বাকি জায়গা বেদখলে। আমরা এসব জায়গা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি। এটা সরকারেরও দায়িত্ব। বাণিজ্য মেলার জায়গাটা আমাদের ফেরত দেওয়ার জন্য আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, তবে সেটায় নানা জটিলতা রয়েছে। তাই ফেরত পাব না মনে হয়। অনেকেই বলেন, শহরের মধ্যে আপনারা থাকছেন। তবে আমরা বলি শহর তো আমাদের দখল করছে।
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা এ সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। সেক্ষেত্রে শেকৃবিতে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া কতটুকু লেগেছে?
  • ২০১১ সাল থেকে শেকৃবির নানা কর্মকা-ে ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন বিভাগে কম্পিউটারাইজড করেছি। হেকেপ ও বিডিরেনের আওতায় নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের মাল্টিমিডিয়া ও ভার্চুয়াল ক্লাসরুম রয়েছে। এর মাধ্যমে মাঝেমধ্যে বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে অধ্যাপকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন। তাছাড়া সম্প্রতি একটি প্রকল্প পেয়েছি, যেটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়ায় থাকবে। এতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য থাকবে। আমাদের ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের অন্যতম। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে উন্নত মাল্টিমিডিয়া সরবরাহ করা আছে।
  • দেশের কৃষি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া কতটুকু লেগেছে?
  • কৃষি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহার দৃশ্যমান। কৃষি সেক্টরের জন্য অ্যাপস করা হয়েছে। এখন ইউনিয়ন সেন্টারে গিয়ে কৃষক সব খবর নিতে পারে। কোন জমিতে কতটুকু সার দিতে হবে, কোন এলাকায় কতটুকু সার দিতে হবে, ফসলে পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে কী ওষুধ দিতে হবে সব ধরনের তথ্য সেখানে পাওয়া যায়।
  • শেকৃবির অধীনে বাইরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি দেওয়া হয় কিনা, অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে?
  • কিছুদিন আগে সিরাগঞ্জের বেলকুচি ভেটারনারি কলেজ আমাদের অধিভুক্তি চেয়েছে, আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি দেখেছি। এখন সেটা একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন হয়েছে, আগামীতে সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মহাখালীতে আরেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হেলথ সায়েন্স মার্স্টাস ডিগ্রি দেওয়ার কথা চলছে। সেটাও অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত দুটি রয়েছে। আগামীতে আরও দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
  • ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে?
  • বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডি দেখে। ক্যাম্পাসে মাদক, জুয়াসহ নানা অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে, এজন্য একটি কমিটি রয়েছে। এসব অপরাধ বন্ধে তাদের  কড়া নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। তাছাড়া সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন নামে একটি কমিটি আছে, যেখানে ক্যাম্পাসের যত ধরনের অপরাধ রয়েছে, তা বন্ধ করার জন্য নানা প্রক্রিয়া চালুও রয়েছে। 
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কেমন?
  • বর্তমানে ২৭ জনের মতো রয়েছে। এর সবাই নেপালি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত আইনটি ড্রাফট করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থী আনতে গেলে কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। এজন্য আপাতত যারা আসতে আগ্রহী তাদের আমরা সুযোগ দিয়ে থাকি। আগামীতে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী আরও বাড়ানো চেষ্টা করব।
  • সামনে স্নাতক ভর্তি শুরু হবে। কৃষিতে যারা পড়তে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে আপনার বার্তা কি থাকবে?
  • কৃষিতে যারা পড়তে আগ্রহী আমরা তাদের ওয়েলকাম জানাই। বর্ধিঞ্চু জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন, শিল্প-কারখানা বাড়ার কারণে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতা হতে হয়। তা মোকাবিলা করতে নানা ধরনের গবেষণা করতে হবে। নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। উন্নতজাতের শস্য উদ্ভাবন করতে হবে। 
  • ক্যাম্পাসে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা কেমন অংশগ্রহণ করছেন?
  • ক্যাম্পাসে নানা ধরনের সংগঠন রয়েছে। ১৫ থেকে ১৬টি সংগঠন সক্রিয়ভাবে চালু রয়েছে। এসব সংগঠনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এছাড়া নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও আমাদের শিক্ষার্থী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। সাংস্কৃতি সপ্তাহ চলে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। এভাবে শিক্ষার্থীরা নানা সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে।
  • তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন ?
  • এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে আমি র্দীঘদিন ধরে জড়িত। ১৯৮১ সালে আমি এখানে যোগ দিয়ে ১৯৮২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিই। ১৯৮৯ সালে স্বায়ত্তশাসন আদেশ হয় পরে বিএনপি সরকার সেটি বন্ধ করে দেয়। পর ১৯৯৬ থেকে চেষ্টার পর ২০০১ সালে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনও আমার হাতে ড্রাফট করা। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ভিসির দায়িত্বে রয়েছি।
  • বিশ্বের ১৯টি দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকারের অভিষ্ট লক্ষ্য এসডিজির বাস্তবায়নে কৃষিবিদ তথা কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কতটুকু?
  • কৃষিবিদ আর কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবদানে আজ দেশে ১৬ কোটি বা তার অধিক মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে খাদ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরাপ্রবণ এলাকার জন্য খরা প্রতিরোধী, আকস্মিক বন্যা প্রতিরোধী ধানের জাত এবং লবণাক্ত প্রবণ এলাকার জন্য নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে যাচ্ছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। এতে করে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
  • জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে যাচ্ছেÑ এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
  • আমি বলব, এ তথ্য ভুল। কেননা, আমরা আগে যেখানে ১ বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মন ধান ফলাতাম; এখন প্রতি বিঘায় ৩০ মন ধান উৎপাদন করি। এখানে উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। তাহলে কনট্রিবিউশন কমলো কী করে? টোটাল কৃষি প্রোডাক্টের পরিসংখ্যান ঠিক নেই বলেই এ ভুল তথ্য প্রদান করা হচ্ছে।
  • আপনাকে ধন্যবাদ।
  • আপনাকেও ধন্যবাদ।